আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বদলে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিনকে। কিন্তু টানা বিক্ষোভের কারণে তিনিও দায়িত্ব পালন করতে পারছিলেন না।
এই প্রেক্ষাপটে আবার পরিবর্তন আনল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভারপ্রাপ্ত ডিজি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হলো অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে। বৃহস্পতিবারই মন্ত্রণালয় থেকে তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হয়।
অধ্যাপক নাজমুল বর্তমানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে রয়েছেন। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে সার্জন হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অধ্যাপক নাজমুল স্বাস্থ্য শিক্ষার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক রোবেদ আমিনের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে অধ্যাপক নাজমুল দায়িত্বে আসায় স্বাভাবিকভাবেই তাকে সরে যেতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে।
এরপর গত ১৮ আগস্ট অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) শাখার পরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক করা হয়েছিল।
কিন্তু বিএনপি সমর্থক চিকিৎসক ও কর্মচারীরা তার নিয়োগ মেনে নেয়নি। তাদের বিক্ষোভের কারণে একদিনও অধিদপ্তরে যেতে পারেননি রোবেদ আমিন, মন্ত্রণালয়ে বসে দাপ্তরিক কাজ সারছিলেন তিনি।
রোবেদ আমিন দায়িত্ব নেওয়ার পরদিনই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সামনে বিক্ষোভ করে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা। এরপর প্রতিদিনই মহাখালীতে অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ চলছিল।
সবশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) অধ্যাপক রোবেদ আমিনের পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করে।
এদিকে সরকার পতনের পর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা স্বেচ্ছা অবসরের আবেদন করেন। এরপর গত ২৮ আগস্ট অধ্যাপক নাজমুলকে ওই অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নিয়োগ দেয় সরকার।