দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার, চিকিৎসা সেবার গুণগত মান উন্নত করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১২ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এই বিশেষজ্ঞ প্যানেল দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করতে কাজ করবে।
কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফয়েজকে, সদস্য সচিব করা হয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ শাফিকে।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক চিঠিতে একথা জানানো হয়েছে।
গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার সরকার। তারপর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর থেকেই সংস্কারের দাবি নিয়ে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে চলছে রদবদল। সংস্কারের দাবি ওঠে স্বাস্থ্য খাতেও। তারপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি পদে আসে রদবদল।
এবার এ খাতে আরও সংস্কার আনার জন্যই ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এই বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কাজের পরিধির বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের জন্য নীতি-নির্ধারণ, সব স্তরে চিকিৎসা শিক্ষার বিশ্বমানের স্বীকৃতি এবং উচ্চ শিক্ষাকে আধুনিকায়নের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া। নগর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার ও কার্যকর, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জনবল ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী ও কাঠামোগত সংস্কার নিয়ে পরামর্শ দেওয়া। দেশের প্রধান প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন- বিএমডিসি, বিএমআরসি, বিএনএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রেগুলেটরি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শক্তিশালী করার বিষয়েও পরামর্শ দেবে বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান, সিনিয়র প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ফিরোজ কাদের।
আরও আছেন স্বাস্থ্য অধিপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক শাকিল আহমদ, ইনজুরি প্রতিরোধ ও গবেষণা সেন্টারের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক ফজলুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এমএ জলিল চৌধুরী, এমএইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক সরকার মাহবুব আহমদ শামিম।