মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সারাদেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই বৃষ্টির মাত্রা আগামী দুইদিন কম থাকতে পারে। তবে সোমবার থেকে আবার ব্যাপকভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলে পাহাড় ধসের শঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক শুক্রবার সকাল সন্ধ্যাকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ুর উত্তর বঙ্গোপসাগরসহ সারাদেশের ওপর প্রবলভাবে সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল শনিবার এবং পরদিন রবিবার বৃষ্টির মাত্রা কমে আসতে পারে। তবে ৫ আগস্ট সোমবার থেকে আবারও বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে পারে।
এরপর থেকে ব্যাপকভাবে বৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ৭,৮ ও ৯ আগস্ট রাজশাহী অঞ্চলসহ দেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু জায়গা ছাড়া সব অঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
অতিভারী বৃষ্টির ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধস হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ করে গাছ কেটে বসতি স্থাপনের ফলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পাহাড় ধসের শঙ্কা বেশি রয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ঝোড়ো হাওয়ার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে, ২৭৬ মিলিমিটার। এই সময়ে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৫৫ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রামে ১২৫, খুলনায় ৩৫, বরিশালে ১১১, সিলেটে ২৫, ময়মনসিংহে ১৫, রাজশাহীতে ২০ ও রংপুরে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।