ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার দিকে এখন সবার নজর। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে গণনা। শুরুর কয়েক ঘণ্টায় ক্ষমতাসীন এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স) জোটকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এনডিএ এগিয়ে থাকলেও প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জোটটিকে। দেশটির অষ্টাদশ লোকসভায় বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) হয়তো ভূমিধস বিজয় পাবে না, এমনটা বলছে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো।
বুথফেরত জরিপ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই জোটের জয়ের যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বরং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া কম ভোট পাবে বলে বুথফেরত জরিপ যা বলেছিল, তা অনেকাংশে মিলছে না।
ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারা এগিয়ে ও পিছিয়ে আছেন, সেদিকে একটু নজর দেওয়া যাক।
এক্ষেত্রে প্রথমেই আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম। উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে লড়ছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অজয় রাই পিছিয়ে।
নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও গুজরাটের গান্ধীনগর আসনে এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সোনাল রমনভাই প্যাটেল পিছিয়ে আছেন।
উত্তর প্রদেশের কনৌজ আসনে এগিয়ে আছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সুব্রত পাঠক পিছিয়ে আছেন।
ভারতের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়েনাদ আসনে এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের নেতা অ্যানি রাজা পিছিয়ে আছেন।
কেবল কেরালার ওয়েনাদ নয়, উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসনেও এগিয়ে আছেন রাহুল গান্ধী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির দীনেশ প্রতাপ সিং পিছিয়ে আছেন।
তবে কংগ্রেসের আরেক নেতা শশী থারুর কেরালার থিরুভানানথাপুরাম আসনে পিছিয়ে আছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখর এগিয়ে আছেন।
উত্তর প্রদেশের আমেথিতে পিছিয়ে আছেন বিজেপির নেতা স্মৃতি ইরানি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের কিশোরী লাল এগিয়ে আছেন।
উত্তর প্রদেশের মৈনপুরী আসনে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদব এগিয়ে আছেন। পিছিয়ে আছেন বিজেপির জয়ভীর সিং।
পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আসনে কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসের ইউসুফ পাঠানের চেয়ে পিছিয়ে আছেন।
উত্তর প্রদেশের মথুরা আসনে বিজেপির প্রার্থী অভিনেত্রী হেমামালিনী এগিয়ে আছেন। পিছিয়ে আছেন কংগ্রেসের মুকেশ ধানগার।
হিমাচল প্রদেশের মান্দি আসন থেকে দাঁড়ানো বিজেপির প্রার্থী অভিনেত্রী কাঙ্গনা রানাউত এগিয়ে আছেন। তার থেকে পিছিয়ে আছেন কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিং।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে বিজেপির প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জি পিছিয়ে আছেন। সেখানে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি।
ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ আসন থেকে লড়াই করা জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা মেহবুবা মুফতি পিছিয়ে আছেন। এগিয়ে আছেন জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের (জেকেএন) মিয়া আলতাফ আহমেদ লারভি।
নয়াদিল্লি থেকে দাঁড়ানো আম আদমি পার্টির নেতা সোমনাথ ভারতী ভোটে পিছিয়ে আছেন। এগিয়ে আছেন বিজেপির বাঁশুরী স্বরাজ।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র কানহাইয়া কুমার উত্তর পূর্ব দিল্লি আসন থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন। তিনি বিজেপির অভিনেতা মনোজ তিওয়ারি থেকে পিছিয়ে আছেন।
পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে তৃণমূলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপির সুরেন্দ্রজিং সিং আহলুওয়ালিয়ার থেকে ৩৮ হাজার ৭৪৫ ভোটে এগিয়ে আছেন।