ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
বিধ্বস্ত হওয়ার পর আগুন লেগে হেলিকপ্টারটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারের যেসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, হেলিকপ্টারটির লেজ ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন। তার সঙ্গে হেলিকপ্টারটিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ ছিলেন ৯ জন।
দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, কিছু মরদেহ এমনভাবে পুড়ে গেছে যে দেখে পরিচয় শনাক্ত করার উপায়ও নেই।
রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও সেখানে ছিলেন।
সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হলেও বাকি দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদেই গন্তব্যে পৌঁছায়।
তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জলফা ও ভার্জাঘানের মাঝে অবস্থিত সুঙ্গুন নামের তামা খনির কাছে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানটি ইরানের অন্যতম বড় শহর তাবরিজ থেকে প্রায় ৭০-১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
রবিবার বিকাল থেকে ৪০টি পৃথক দল উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেয়। তবে পাহাড়ি এলাকাটিতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকারী দলগুলো কেবল স্থলপথে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সক্ষম হয়।
দেশটির রেড ক্রিসেন্টের প্রধান পীর-হোসেন কোলিভান্দ ইরান ইন্টারন্যাশনাল টিভিকে বলেছেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। রাইসি ও অন্যদের মরদেহ তাবরিজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।