Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

শক্তিশালী পাসপোর্ট মাপা হয় কীভাবে

ss-passport-22-02-24
[publishpress_authors_box]

কোন দেশের পাসপোর্ট শক্তিশালী আর কোন দেশের পাসপোর্ট দুর্বল? প্রতি বছর এ বিষয়ক একটি সূচক প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দ্য হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স।

প্রতিষ্ঠানটির এবারের সূচকে এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গতবার এই সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ১০২তম। এবার সেটি হয়েছে ১০৩তম। বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট নিয়ে সূচকটি তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪২টি দেশ ভ্রমণ করতে পারেন, যা এই সূচক তৈরির ক্ষেত্রে বিবেচনার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।

সূচকে প্রথম অবস্থানে যৌথভাবে আছে ছয়টি দেশ। এগুলো হলো- ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সিঙ্গাপুর ও স্পেন। এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ১৯৪টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।

সূচকে সবার নিচে রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ২৮টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।

শক্তিশালী পাসপোর্ট কী

ফোর্বস ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে, পাসপোর্টের শক্তির বিষয়টি বিবেচনায় না রাখলে চলবে না। মোটকথা, এই সূচকের ওপরই নির্ভর করে, পাসপোর্টটি বহনকারী ব্যক্তি সীমান্ত পার হতে পারবেন কি না? পাসপোর্টের ক্ষমতার দিকে দেখলে বোঝা যায়, বহনকারী নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারবেন কি না?

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের পাসপোর্ট সূচকে সারাবিশ্বের চিত্র তুলে ধরা হয়। সেখানে উঠে আসে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ভ্রমণের ক্ষেত্রে কতটা স্বাধীনতা পায়। এই সূচক থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টগুলো সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। সেখানে ‍উঠে আসে কোন কোন দেশের নাগরিকদের কোথাও ভ্রমণের আগে আগে ভিসা নেওয়ার দরকার পড়ে না।

আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (আইএটিএ) দেওয়া তথ্য থেকেই এই র‌্যাঙ্কিং তৈরি করে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স।

বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যের সবচেয়ে বিস্তৃত ও সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র আইএটিএ।

র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রক্রিয়া

হেনলি পাসপোর্ট র‌্যাঙ্কিংটি করা হয় ব্যাপক পদ্ধতিতে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সেই সব দেশের সংখ্যা, যেখানে নির্দিষ্ট দেশের পাসপোর্টধারীরা ঢুকতে পারবেন ভিসা ছাড়া, দেশটির কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং তাদের আন্তর্জাতিক চুক্তি ইত্যাদি।

পাসপোর্টের ক্ষমতা বিবেচনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্পর্কও খুব তাৎপর্য বহন করে। যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক খুব ইতিবাচক, তাদের পাসপোর্টও হয় শক্তিশালী। এর ফলে বেশ কিছু দেশে তারা ভিসা ছাড়াই প্রবেশাধিকার পায়। আর কিছু দেশে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ বা সেখানে পৌঁছে ভিসা নিতে হয়।

একটি দেশের শক্তিশালী পাসপোর্ট থাকার বিষয়টি বহনকারীর ব্যক্তিজীবনের ওপরও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ এই হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স দিয়ে বৈশ্বিক গতিশীলতার অবস্থা বোঝা যায় সবচেয়ে সুষ্পষ্টভাবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত