Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

বৈরুতে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার নিহত

বৈরুতের দাহিয়াহ এলাকায় শুক্রবার ইসরায়েলের হামলায় ভেঙে পড়া আবাসিক ভবন।
বৈরুতের দাহিয়াহ এলাকায় শুক্রবার ইসরায়েলের হামলায় ভেঙে পড়া আবাসিক ভবন।
[publishpress_authors_box]

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ইব্রাহিম আকিল নামে হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ সামরিক কমান্ডারও রয়েছে।

এ ঘটনা প্রায় এক বছরদীর্ঘ গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাস আগে শুরু হওয়া লেবাননের শিয়া রাজনৈতিক দল ও আধাসামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, যার প্রভাব পড়বে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে।  

ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলের মৃত্যু নিশ্চিত করে সোশাল মিডিয়ায় হিজবুল্লাহ লিখেছে, তিনি আমাদের অন্যতম মহান জিহাদী নেতা ছিলেন।      

বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় ঘনবসতিপূর্ণ দাহিয়াহ এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহতের পাশাপাশি আরও অনেকে আহত হয়।

বৈরুতের দাহিয়াহ ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান হামলার পরপরই দাহিয়াহ এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হামলার খবর পেয়ে জরুরি সেবা দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিভিন্ন সংস্থা। তারা হামলায় আহতদের উদ্ধারের পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়া লোকজনদের খুঁজতে থাকে।

এ হামলায় দাহিয়াহ এলাকায় অন্তত একটি আবাসিক ভবন ভেঙে পড়ে। বাকিগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসেস (আইডিএফ) মুখপাত্র ডেনিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামলায় হিজবুল্লাহর এলিট বাহিনী রাদওয়ানের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল নিহত হয়েছে। এছাড়া এতে বাহিনীর কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও কমান্ডারও মারা যায়।   

হিজবুল্লাহর রাদওয়ান বাহিনীর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল।

বিবৃতিতে মুখপাত্র হাগারি আরও বলেন, “দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়াহ এলাকার কেন্দ্রে একটি আবাসিক ভবনের নিচে ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় হিজবুল্লাহর সদস্যরা লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের মাঝে লুকিয়েছিল।

“তারা ইসরায়েলে ঢুকে নিরীহ বেসামরিকদের হত্যার পরিকল্পনা করছিল।”

এ বছরের জুলাইয়ে বৈরুতেই বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর সামরিক প্রধান ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করেছিল ইসরায়েল।

শুক্রবার বৈরুতে হামলার দুদিন আগে মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ সদস্যদের পেজার বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত হয়। আহত হয় কয়েক হাজার। ঠিক তার পরদিন তাদের ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন প্রাণ হারায়। আহত হয় সাড়ে চারশ’ মানুষ।

এই দুই ঘটনার জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করে হিজবুল্লাহ। অবশ্য এখন পর্যন্ত পেজার ও ওয়াকি-টকিতে হামলার দায় নেয়নি দেশটি, আবার অস্বীকারও করেনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত