Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেখ হাসিনা পরিবারকে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা।
[publishpress_authors_box]

ক্ষমতায় থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে আগামী চার মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন– সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জসিম উদ্দীন সরকার ও প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে মোট ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী রিট করেন।

রিটে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত অবৈধ বরাদ্দ প্রত্যাহার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন অনুযায়ী বরাদ্দ থেকে সুবিধাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

একইসঙ্গে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের আবেদন জানান রিটকারী আইনজীবীরা।

বুধবার এ রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রেখেছিল হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

আদেশের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, প্লট বরাদ্দের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট। কমিটিকে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদেশে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রিটের পক্ষের আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন জানান, রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ হাসিনা নিজের নামে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ২০২২ সালে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপান্তিকে ১০ কাঠার প্লট দেওয়া হয়।

পরে রাজউকের নথিতে একে ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গোপনীয়’ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয় বলে জানান মিসবাহ।

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত