Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

জিআই পণ্যের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

Court
[publishpress_authors_box]

দেশের যেসব পণ্য ইতোমধ্যে জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) তালিকাভুক্ত এবং জিআই তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য, সেসব পণ্যের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও নিবন্ধনে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রবিবার হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।

সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের যেসব পণ্য জিআই তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং যেসব পণ্য এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি কিন্তু হওয়ার যোগ্য, তার তালিকা করে দাখিল করতে বলেছেন আদালত। ১৯ মার্চ এ তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারত নিজেদের জিআই পণ্য দাবি করার পর তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিটটি করা হয় বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী সারোওয়াত সিরাজ।

টাঙ্গাইল শাড়িই প্রথম নয়, এর আগেও কয়েকটি পণ্যের জিআই নিবন্ধন করিয়েছে ভারত, যেগুলো বাংলাদেশের বলে দাবি রয়েছে।

ভারতের সঙ্গে জিআই নিয়ে বাংলাদেশের লড়াই শুরুর আগেই ‘বাংলার রসগোল্লা’, ‘নকশি কাঁথা’ ও ‘মালদার ফজলি আম’ জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন নিয়ে নেয় ভারত।

২০১২ সালের দিকে জামদানি শাড়ি ও ইলিশকেও জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত। এসব পণ্য বাংলাদেশেই বেশি প্রসিদ্ধ ছিল।

সে সময় পণ্য জিআই নিবন্ধনে বাংলাদেশে কোনও আইন ছিল না। ২০১৩ সালে আইন হওয়ার পর প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে নথিভুক্ত হয় জামদানি শাড়ি। তবে ভারতও জামদানিকে জিআই পণ্য হিসেবে নথিভুক্ত করে, তবে তা ‘উপাধা জামদানি’ নামে।

এদিকে বাংলাদেশে এরপর একে একে স্বীকৃতি পায় ইলিশ, ক্ষীরসাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের জিআই নিবন্ধন সম্পন্ন করে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে জিআই স্বীকৃতি পায় টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা ও ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল। অন্যদিকে সুন্দরবনের মধুকে ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হয় ২ জানুয়ারি, যার জন্য আবেদন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন কর্পোরেশন।

এছাড়া আরও ১৪টি পণ্যের আবেদন জমা দেওয়া আছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কে (ডিপিডিটি)। এগুলোর মধ্যে যশোরের খেজুরের গুড়, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও রাজশাহীর মিষ্টিপান- এই ৪ পণ্য ৭ ফেব্রুয়ারি জিআই পাওয়ার যোগ্য বলে স্বীকৃতি মঞ্জুর করেছে ডিপিডিটি।

এর আগের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিবন্ধনের আবেদন যাচাই-বাছাই করে মঞ্জুর করেছিল ডিপিডিটি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত