Beta
শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত : উচ্চক্ষমতার তদন্ত কমিটি করবে সরকার

রাঙ্গামাটি সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে আয়োজিত মতবিনিময়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
রাঙ্গামাটি সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে আয়োজিত মতবিনিময়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি

পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘাতের পর গোটা রাঙ্গামাটিতে যথন থমথমে অবস্থা, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানালেন, পাহাড়ের ঘটনায় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কোনও অবস্থাতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে দেওয়া যাবে না বলেও, হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার রাঙ্গামাটিতে গেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। দুপুরে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেন তারা।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সরকারের এই প্রতিনিধিরা।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধরী বলেন, “আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করার পর পাহাড়ের ঘটনায় একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করব। আইনশৃঙ্খলা কোনও অবস্থাতেই অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা চাচ্ছি। যারা আইনশৃঙ্খলা অবনতি করবে তাদের কোনও অবস্থায় আমরা ছাড় দেব না।”

পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের পর রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা

রাঙ্গামাটি সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে আয়োজিত বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “ভবিষ্যতে যদি তারা আবার চেষ্টা করে, তাদের হাত আমরা ভেঙে দেব। আপনাদের কাছে বার বার অনুরোধ করব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন উন্নতি হয়। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন। প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন। জনগণকে বোঝাবেন যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অটুট থাকে, ভালো থাকে।”

বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সংঘাতের জের ধরে শুক্রবার দফায় দফায় সংঘর্ষের পর এখনও থমথমে রাঙ্গামাটি। বনরূপা বাজারের বিভিন্ন রাস্তার মুখে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ ছাড়া শহরের দোয়েল চত্বর, পৌরসভা এলাকা, হ্যাপির মোড়, নিউ মার্কেট, স্টেডিয়াম এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

পাহাড়ে সবাই সম্প্রীতি দেখতে চায় জানিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, “এখানে সম্প্রীতি থাকবে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব, একসঙ্গেই কাজ করব। আজকের বৈঠকেও সবাই সেই কথাই বলেছেন।

পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত : ধর্মঘট-অবরোধে স্থবির রাঙ্গামাটি

“তবে কেন জানি কোথাও একটা ছন্দপতন হচ্ছে। ছন্দপতনের ব্যাপারে প্রত্যেকের মুখে একটা শব্দ উচ্চারিত হয়েছে, সেটা হলো ‘ষড়যন্ত্র’। বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য। সেজন্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা করার দাবি উঠেছে।”

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার, রাঙ্গামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সদস্য নিরূপা দেওয়ান, বাঙালিভিত্তিক সংগঠনের নেতাসহ অন্যরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত