Beta
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

এবার সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতার টাস্কফোর্স

মেহেরুন রুনি ও সাগর সরওয়ার।
মেহেরুন রুনি ও সাগর সরওয়ার।
[publishpress_authors_box]

দীর্ঘ ১২ বছর পর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তভার সরছে র‌্যাবের কাছ থেকে।

এখন থেকে এই মামলার তদন্ত করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স, যা গঠনের নির্দেশ এসেছে উচ্চ আদালত থেকে।

সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আলোচিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদনের আদেশ সংশোধন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

শুনানিতে বিচারক বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচারে দীর্ঘসূত্রতা কেবল তাদের পরিবারের জন্যই নয়, এটা দেশের সকল নাগরিকের জন্য এক দুঃখজনক ঘটনা। এই টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং বেঁধে দেওয়া ছয় মাসের মধ্যেই তদন্ত শেষ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

আদেশে এই মামলা তদন্তে বিভিন্ন বাহিনী বা সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই আদেশ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে টাস্কফোর্সকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ঠিক করে দিয়েছেন বিচারক।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনিক আর হক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদোয়ান আহমেদ রানজিব।

সাগর-রুনির মামলার বাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে শিশু মাহির সরওয়ার মেঘ।

সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর তদন্তের দায়িত্ব যায় র‌্যাবের কাঁধে। সেই থেকেই র‌্যাবই হত্যাকাণ্ডটির তদন্ত করে আসছে।

এ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ১১১ বার সময় নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবরও ঢাকার একটি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য আছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সারাদেশের বিচারকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, “আমরা দেখেছি চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে ১১১ বার সময় নেওয়া হয়েছে। এটা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। তদন্ত কাজেই যদি একাধিক বছর সময় লেগে যায়, সে মামলার বিচারকাজ পরিচালনা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ সময়ের আবর্তে মামলার অনেক সাক্ষী ও সাক্ষ্য হারিয়ে যায়।”

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় এক যুগ পর বাদী পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী মেহেরুন রুনির ভাই নওশের রোমান আইনজীবী নিয়োগের বিষয়টি রবিবার সাংবাদিকদের জানান।

সেসময় আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত