সীমিত পরিসরে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে আবারও পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। বাংলাদেশ সরকারও রমজানের আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপর থেকেই দুটি পণ্য আমদানির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ ও চিনি রমজান আগেই আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রোজার মাসে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা এই তথ্য শোনার পরে সোমবার সকাল থেকেই ভারতীয় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা এলসি খুলে এই দুটি পণ্য ভারত থেকে আমদানি শুরু করবে।
দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন জানান, একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দুটির অবৈধ মজুদ রেখে বাজারে দ্রব্যমূল্য অস্থিতিশীল করছে। এ কারণেই ভারত থেকে আমদানি করে বাজারদর সহনশীল রাখতে আমদানিকারকরা সবধরনের সহযোগিতা করবে।
অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর মোদি সরকার পেঁয়াজ টনপ্রতি রপ্তানিতে দাম ৮০০ ডলার বেঁধে দেয়। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই আদেশ বলবৎ থাকবে বলা হয়।
তবে তার আগেই গত ৮ ডিসেম্বর ভারত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে পরের দিন বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ খুচরায় প্রায় দ্বিগুণ দামে ২২০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়।
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সীমিত পরিসরে ফের ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়।
