Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কৃষি জমির উত্তরাধিকারে হিন্দু বিধবা স্ত্রীর ভাগবখরা-২

সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার না পেয়ে কিংবা পরিবার থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হাজারো হিন্দু বিধবা নারী বসবাস করছে ভারতের প্রাচীন তীর্থ বৃন্দাবনের শত শত আশ্রমে। এজন্য বৃন্দাবনকে বিধবাদের শহর বলেও অভিহিত করা হয়। প্রতীকী ছবিটি ওমেনসওয়েব ডট ইন থেকে নেওয়া।

পূর্বাভাষ: হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনে দুটি প্রধান মতবাদ আছে: মিতাক্ষরা ও দায়ভাগ। এ-দুই মতের আইনেই পুত্র, পৌত্র, এমনকি প্রপৌত্র থাকলেও বিধবা স্ত্রীরা স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারিণী হতে পারে না, হতে পারে যদি তারা কেউ না থাকে। স্বামীর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পাবার ক্ষেত্রে হিন্দু বিধবা স্ত্রীদের এই সুদূরপরাহতদশা ঘোঁচাতে ব্রিটিশ ভারতের শাসকরা ১৯৩৭ সালে নতুন আইন করে পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্রদের সঙ্গে একই সময়ে এক পুত্রের মতো ভাগ বিধবা স্ত্রীদেরও পাবার বিধান করে। সেই সঙ্গে বিধবা পুত্রবধু ও বিধবা পৌত্র বধুদেরও অনুরূপ ভাগ পাবার বিধান করে ঐ আইনে। কিন্ত, সমস্যা বাধল ঐ আইনে কৃষি জমিতে তাদের ভাগ পাওয়া নিয়ে। কেন এই সমস্যা? আমাদের দেশে এখনও কি এই সমস্যা থাকবে? মিতাক্ষরা ও দায়ভাগ হলো কী করে? ভারতে ব্রিটিশের আইন প্রণয়নের কর্তৃত্বের কী ইতিহাস? পড়ুন সেই সব আলোচনা এ-লেখায়। ছয় পর্বের ধারবাহিকের আজ প্রকাশ হলো দ্বিতীয় পর্ব।    

২. শাস্ত্রীয় কথা

সম্পত্তির উত্তরাধিকারে বিধবা স্ত্রীর ভাগবখরার কথা কী আছে কোন মতের কোন হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনে?

তার আগে কিন্তু দুইখান কথা বলার আছে : মিতাক্ষরা ও দায়ভাগ, দুই মতেরই হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনে উত্তরাধিকারী নির্ধারণে আগে দেখে সম্পত্তিটা কি নারীর নাকি পুরুষের? নারীর হলে আবার দুইখান কথা থাকে: সম্পত্তিটা কি ‘স্ত্রীধন’ (Stridhan – থাকে পূর্ণ স্বত্বাধিকার), নাকি ‘স্ত্রীলোকের সম্পত্তি’ (Women’s Estate – থাকে জীবনস্বত্বাধিকার)? স্ত্রীধন হলে আবার দুইখান কথা থাকে : সেটা কি কুমারীর, নাকি বিবাহিতার! বিবাহিতার হলে আবার চারখান কথা থাকে! …

থাক থাক। হচ্ছে তো বিধবা স্ত্রীর কথা, স্ত্রী তো বিধবা হয় স্বামীরই মৃত্যুতে। সুতরাং, পুরুষের সম্পত্তির উত্তরাধিকারীর কথাই হোক আপাতত।

তবে তাই হোক। তবে কিনা নারীর ও পুরুষের সম্পত্তি, স্ত্রীধন ও স্ত্রীলোকের সম্পত্তি, কুমারীর ও বিবাহিতার স্ত্রীধন প্রত্যেকটার উত্তরাধিকারী নির্ধারণের আলাদা আলাদা বিধিবিধান আছে মিতাক্ষরা ও দায়ভাগ দুই মতেরই হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনে। মিতাক্ষরা পুরুষের সম্পত্তি হলে আবার দুইখান কথা : সেটা কি তার নিজ অর্জিত পৃথক সম্পত্তি, নাকি তার যৌথ পারিবারিক সম্পত্তি!

সে আবার কী?

যৌথ পারিবারিক সম্পত্তি গড়ে ওঠা শুরু হয় যৌথ পরিবারের পূর্বপুরুষের (পিতা, পিতার পিতা : পিতামহ এবং পিতার পিতার পিতা : প্রপিতামহ) সম্পত্তি ওয়ারিশ-উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্তি দিয়ে। নিজ অর্জিত পৃথক সম্পত্তি হয় যৌথ পারিবারিক সম্পত্তি না খাটিয়ে নিজের মেদ-মেধা খাটিয়ে নিজের চেষ্টায় নিজ শ্রমের উপার্জন দিয়ে।  

বিধবা স্ত্রীই শুধু নয়, বধূ-মাতা-কন্যা-ভগ্নি, বিধবা কিংবা সধবা কোনো নারীই কখনো মিতাক্ষরা যৌথ পারিবারিক সম্পত্তিতে ওয়ারিশ-উত্তরাধিকারিণী হতে পারে না শাস্ত্রীয় আইনে। যৌথ পরিবারে তারা অন্নভোগিনী সদস্যা মাত্র, খোরপোশের বেশি কিছু ভাগ নাই তাতে তাদের।

মিতাক্ষরা পুরুষের যৌথ পারিবারিক সম্পত্তিতে বিধবা স্ত্রী কি উত্তরাধিকারিণী হয়?  

না, কোনো বিধবা স্ত্রীর কোনো ভাগ নাই তাতে। বিধবা স্ত্রীই শুধু নয়, বধূ-মাতা-কন্যা-ভগ্নি, বিধবা কিংবা সধবা কোনো নারীই কখনো মিতাক্ষরা যৌথ পারিবারিক সম্পত্তিতে ওয়ারিশ-উত্তরাধিকারিণী হতে পারে না শাস্ত্রীয় আইনে। যৌথ পরিবারে তারা অন্নভোগিনী সদস্যা মাত্র, খোরপোশের বেশি কিছু ভাগ নাই তাতে তাদের। যৌথ পারিবারিক সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হয় শুধু অধস্তন তিনপুরুষ : পুত্র, পুত্রের পুত্র [পৌত্র] ও পুত্রের পুত্রের পুত্র [প্রপৌত্র]। যৌথ পারিবারিক সম্পত্তিতে শরিক-ভাগীদার হয়ে পড়ে তারা নিজ নিজ জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই, কারো মৃত্যুর অপেক্ষায় না থেকে। উত্তরাধিকার বাধাহীন, এটা তাই ‘অপ্রতিবদ্ধ’ [Unobstructed] উত্তরাধিকার। যৌথ পারিবারিক সম্পত্তিতে তারা নিজের পিতার সঙ্গেও শরিক-ভাগীদার (অংশীদার – ‘Coparcener’) হয়ে পড়তে পারে (যদি তেমন পিতা-পুত্র একই সময়ে বর্তমান থাকে)। তবে কিনা, কোনো শরিক-ভাগীদারেরই অংশ নির্ধারিত থাকে না, নির্ধারিত হয় ছাহাম বাটোয়ারার পরে।

সে আবার কেমন কথা?

ছাহাম বাটোয়ারা করে পৃথক হওয়ার আগে পর্যন্ত যৌথ পারিবারিক সম্পত্তিতে শরিক-ভাগীদারদের অংশের কমা-বাড়া চলতে থাকে যে! নতুন উত্তরাধিকারী কেউ জন্ম নিলেই শরিক-ভাগীদারের সংখ্যা যায় বেড়ে, তখন প্রত্যেকের ভাগের অংশ আসে কমে। আর উত্তরাধিকারী কেউ মারা গেলে শরিক-ভাগীদারের সংখ্যা আসে কমে, তখন প্রত্যেকের ভাগের অংশ যায় বেড়ে।     

মিতাক্ষরা পুরুষের নিজ অর্জিত পৃথক সম্পত্তিতে তবে বিধবা স্ত্রীর কী অবস্থা? 

উত্তরাধিকারিণী সে হতে পারে, তবে তা সুদূরপরাহত প্রায়! মিতাক্ষরা পুরুষের নিজ অর্জিত পৃথক সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হতে গেলে থাকতে হয় তার মৃত্যুর অপেক্ষায়! এই সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার সৃষ্টি হয় তার [পুরুষলোকটির] মৃত্যুর পর মুহূর্তেই। মৃত্যুর অপেক্ষা দ্বারা বাধাগ্রস্ত, এটা তাই ‘প্রতিবদ্ধ’ [Obstructed] উত্তরাধিকার।

পুরুষলোকটির মৃত্যুর পরমুহূর্তটিতে আত্মীয়-স্বজন যারা দুনিয়ায় থাকে তাদের মধ্যে রক্ত সম্পর্কে সবচেয়ে নিকটতমজন (একাধিক হলে সকলে একত্রে) সবটুকুই পাবে আগে, দূরবর্তীদের সবাইকে একেবারে দূরে ঠেলে ফেলে। এইভাবে একে একে, ধাপে ধাপে আসে সব উত্তরাধিকারী। প্রথম ধাপে আসে পুত্ররা। পুত্ররা কেউই ধরাধামে না থাকলে, দ্বিতীয় ধাপে আসে পৌত্ররা। আর এই দুই ধাপের একজনও কেউ না থাকলে, তৃতীয় ধাপে আসে প্রপৌত্ররা। এই তিন ধাপের একজনও কেউ যদি পুরুষলোকটির মৃত্যুর ক্ষণটিতে দুনিয়ায় না থাকে, তবেই চতুর্থ ধাপে গিয়ে উত্তরাধিকার জুটবে বিধবা স্ত্রীর (একাধিক হলে একত্রে) কপালে।

এমন কপাল কয়জনের হয়!

হয়ই না প্রায়। হয় যদি, তো সেটাও সীমিত স্বত্বে, কেবলই তার জীবনস্বত্বে। এই হলো ‘স্ত্রীলোকের সম্পত্তি’ [Women’s Property]! খাইদাই শোধ তার। ‘আইনানুগ প্রয়োজন’ ছাড়া হস্তান্তর করতে পারবে না, বিধবার মৃত্যুর পরে ওই সম্পত্তি ফিরে যাবে সে না থাকলে স্বামীর যে-আত্মীয়ের (কন্যা, জীবিত থাকলে; কন্যার অবস্থান পঞ্চম ধাপে, তারও হবে জীবনস্বত্ব) উত্তরাধিকারী হবার কথা, সেই ‘অপেক্ষমান উত্তরাধিকারী’ [Reversioner]  এর কাছে। যখন যে-ধাপে যারা পায়, তারা পায় মৃত পুরুষের রেখে যাওয়া সম্পত্তির সবটুকুই। বিধবা স্ত্রীও তাই পুত্র-পৌত্র-প্রপৌত্ররা কেউই না থাকলে চতুর্থ ধাপে গিয়ে যখন পায় তখন সে পায় স্বামীর রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তির সবটুকুই। কৃষি-অকৃষি, স্থাবর-অস্থাবর বাদ থাকে না কোনো কিছুই। এই হলো মিতাক্ষরা হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনের সংক্ষিপ্ত কথা।    

কৃষি জমির উত্তরাধিকারে হিন্দু বিধবা স্ত্রীর ভাগবখরা-১

আর দায়ভাগ হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনে?

মিতাক্ষরার মতো কোনো যৌথ পারিবারিক সম্পত্তি হয় না দায়ভাগ হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনে। একান্নে এক পরিবারভুক্ত হয়ে বাস করলেও দায়ভাগ শাস্ত্রমতে তা যৌথ পরিবার নয়। এজমালিতে থাকলেও তা যৌথ সম্পত্তি নয় দায়ভাগে। ছাহাম বাটোয়ারায় পৃথক না হলেও প্রত্যেক শরিক-ভাগীদারেরই নির্ধারিত অংশ থাকে দায়ভাগের এজমালি সম্পত্তিতে। দায়ভাগে পুরুষের সম্পত্তি সব যার যার তার তার, তা সে যে-ভাবেই পেয়ে থাক না কেন, সবই তার একেবারে নিজস্ব পৃথক সম্পত্তি। মিতাক্ষরা পুরুষের নিজ অর্জিত পৃথক সম্পত্তির মতো ব্যাপার আর কি! উত্তরাধিকারের অবস্থাও ওই মিতাক্ষরার নিজ অর্জিত পৃথক সম্পত্তির মতো একই রকম। দায়ভাগ শাস্ত্রমতেও বিধবা স্ত্রী (একাধিক হলে একত্রে) উত্তরাধিকার পেতে পারে, যদি স্বামীর মৃত্যুর ক্ষণটিতে পুত্র, পৌত্র ও প্রপৌত্ররা (যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের উত্তরাধিকারী) কেউই দুনিয়ায় না থাকে, তখন সেই চতুর্থ ধাপে গিয়ে। পেলে পাবে স্বামীর রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তির সবটুকুই; পাবে কৃষি-অকৃষি, স্থাবর-অস্থাবর সব কিছুই। পাবে শুধুই জীবনস্বত্বে, হবে তা ‘স্ত্রীলোকের সম্পত্তি’। বিধবা স্ত্রীর মৃত্যুর পরে সেগুলো পাবে রিভার্শনার (কন্যা, যদি জীবিত থাকে; দায়ভাগেও কন্যার অবস্থান পঞ্চম ধাপে, তারও হবে জীবনস্বত্ব)। এই হলো দায়ভাগ হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনের সংক্ষিপ্ত কথা। তবে, আরো একখান কথা বলার আছে!

বিধবা স্ত্রীও তাই পুত্র-পৌত্র-প্রপৌত্ররা কেউই না থাকলে চতুর্থ ধাপে গিয়ে যখন পায় তখন সে পায় স্বামীর রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তির সবটুকুই। কৃষি-অকৃষি, স্থাবর-অস্থাবর বাদ থাকে না কোনো কিছুই। এই হলো মিতাক্ষরা হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনের সংক্ষিপ্ত কথা।

আবার কী?

পুত্র, পৌত্র ও প্রপৌত্র আলাদা আলাদা তিনটি (যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়) ধাপের এই উত্তরাধিকারীরা একসঙ্গেও উত্তরাধিকারী হতে পারে কখনো কখনো; হতে পারে সেটা মিতাক্ষরা ও দায়ভাগ দুই মতেরই শাস্ত্রীয় আইনে।

কেমন করে?

যদি কোনো হিন্দু পুরুষ তিন বা ততোধিক পুত্রের পিতা হয়ে থাকেন, পুত্রদের মধ্যে যদি এক পুত্র আগেই মারা গিয়ে থাকে পুত্র (এক বা একাধিক) রেখে, আরেক পুত্র মারা গিয়েছিল যে-পুত্র (এক বা একাধিক) রেখে সেও যদি মারা গিয়ে থাকে পুত্র (এক বা একাধিক) রেখে; তাহলে এই পুরুষলোকটির মৃত্যুর সময় একই সঙ্গে থাকে তার ওই পুত্র, পৌত্র ও প্রপৌত্ররা। এরকম অবস্থায় এই পুত্র, পৌত্র ও প্রপৌত্ররা একসঙ্গেই উত্তরাধিকারী হয়। পুত্র পায় তার নিজের অংশটুকু, পৌত্ররা পায় তাদের পিতা (মৃত লোকটির পূর্বমৃত পুত্র) জীবিত থাকলে যে-অংশটুকু পেতে পারত সেইটুকু, প্রপৌত্ররা পায় তাদের পিতার পিতা (মৃত লোকটির পূর্বমৃত পুত্রের পূর্বমৃত পুত্র) জীবিত থাকলে যে-অংশটুকু পেতে পারত সেইটুকু। মৃত লোকটির নিজের বিধবা স্ত্রী, পূর্বমৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী এবং পূর্বমৃত পৌত্রের বিধবা স্ত্রী কিছুই পায় না তখন, নিজ নিজ পুত্রের মাতা হিসেবে তাদের উত্তরাধিকার তখন হয়ে পড়ে আরও সুদূরপরাহত।

সে কেমন?

মাতার অবস্থান দায়ভাগমতে অষ্টম ধাপে (পিতা সপ্তম ধাপে), মিতাক্ষরামতে সপ্তম ধাপে (পিতা অষ্টম ধাপে); মাতারও হবে জীবনস্বত্ব। উত্তরাধকারসূত্রে পাওয়া সম্পত্তিতে সব হিন্দু নারীরই জীবনস্বত্ব, উত্তরাধকারসূত্রে পাওয়া সব হিন্দু নারীর সম্পত্তিই ‘স্ত্রীলোকের সম্পত্তি’। এই ছিল বিধান, তাই-ই আছে বহাল এখনো আমাদের দেশে হিন্দু শাস্ত্রীয় আইনে।           

তাহলে তো মিতাক্ষরা যৌথ পারিবারিক সম্পত্তি ছাড়া স্বামীর সব সম্পত্তিতেই মিতাক্ষরা ও দায়ভাগ দুই মতেরই হিন্দু বিধবা স্ত্রী উত্তরাধিকার পায়, যদিও তা জীবনস্বত্বে। কৃষি-অকৃষির কথা আসছে কেন তবে?

সে তো ব্রিটিশের ভুলে!

করলটা কী ব্রিটিশে!

সে কথা হবে পরবর্তী পর্বে।

(চলবে)

লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, আইনগ্রন্থকার; অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও দুদকের সাবেক মহাপরিচালক।
ইমেইল: moyeedislam@yahoo.com

মঈদুল ইসলাম। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার
ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত