Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

গণভবন : কত নাম ঘুরে জাদুঘরের পথে

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভরতে চলে যাওয়ার পর গত ৫ আগস্ট গণভবন হয়ে উঠেছিল জনতার উৎসবের কেন্দ্র। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভরতে চলে যাওয়ার পর গত ৫ আগস্ট গণভবন হয়ে উঠেছিল জনতার উৎসবের কেন্দ্র। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সরকার প্রধানের বাসভবন হিসেবে সংসদ ভবনের পাশে গড়ে তোলা হয়েছিল গণভবন, পরে এটি হয়ে গিয়েছিল রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা, ২১ বছর পর আবার প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির মর্যাদায় ফিরেছিল ভবনটি। নির্মাণের অর্ধ শতক বছর পেরিয়ে এখন জাদুঘর হতে যাচ্ছে এই বাড়ি।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে এই বাড়িটির নাম ও মর্যাদার বদলও ঘটে চলছে। এই রূপবদলের ধারায় নতুন সিদ্ধান্ত এসেছে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে কয়েকশ মানুষের আত্মদানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে, তাকে স্মরণীয় করে রাখতে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে।

আন্দোলনের মিছিল থেকে উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া তাদের সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি, শহীদদের স্মৃতি এবং বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যত অন্যায়, অবিচার হয়েছে, সব স্মৃতিকে সংরক্ষণ করার জন্য গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।”

১৫ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে গণভবন।

ঢাকার শেরেবাংলা নগরে গড়ে তোলা দৃষ্টিনন্দন এই গণভবনের নামে ভবন থাকলেও এটিকে শুধু দালান ভাবাটা ভুল হবে। ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীতে এক টুকরো সবুজ হয়ে রয়েছে ১৫ একর আয়তনের এই বাড়ি। লন, বাগান, ক্ষেত, পুকুর– কী নেই সেখানে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে আছে এই গণভবন। অতিথি হিসেবে আরও রাষ্ট্রনেতাদের স্মৃতিও জড়িয়ে আছে এই ভবনটি ঘিরে।

বঙ্গবন্ধুর জন্য নির্মাণ

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিন্টো রোডের প্রেসিডেন্ট হাউজে অফিস করতেন। তখন ওই ভবনটি পরিচিত ছিল গণভবন নামে। সেই ভবনটি পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধা হয়েছিল। এখন সেটি ফরেন সার্ভিস একাডেমি।

তখন প্রেসিডেন্ট ভবন আকারে ছোট ছিল বলে বঙ্গবন্ধুর কার্যালয়ের চাপ সামলাতে পারছিল না, তাই ১৯৭৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও সচিবালয় হিসেবে শেরেবাংলা নগরে এই গণভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এক বছরের মধ্যে তা নির্মাণও হয়ে যায়।

স্বাধীনতার পর সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধুর জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল গণভবন।

গণভবনের নকশাকার কে, সেই খবর নিতে গিয়ে যতদূর জানা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের কয়েকজন স্থপতি মিলে নকশাটি করেন। তখন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন খবিরুদ্দীন বেগ। নির্মাণ কাজের তদারকি করেন স্থপতি আমির হোসেন।

গণভবন নির্মিত হলেও বঙ্গবন্ধু কখনও এই ভবনে রাত কাটাতেন না। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে নিজের বাড়িতেই সপরিবারে থাকতেন তিনি।

তবে গণভবনে সান্ধ্যকালীন অফিস করতেন বঙ্গবন্ধু। সেখানে তিনি বিদেশি অতিথি, কূটনীতিকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ দিতেন।

তখন সংসদ ভবন নির্মাণ হয়নি। জাতীয় সংসদের কাজ চলত তেজগাঁওয়ে, যেটি এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গণভবনে তখন প্রধানমন্ত্রীর সচিব, রাজনৈতিক সচিব, কেবিনেট সচিব, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব এবং বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের অফিস ছিল।

বঙ্গবন্ধু বিকালে চলে আসতেন গণভবনে, রাত ৯/১০টা পর্যন্ত অফিস করতেন। সেখানে তিনি লেকে মাছের খাবার দিতেন, লনে হাঁটাহাটি করতেন, যা বিভিন্নজনের স্মৃতি থেকে জানা যায়।

গণভবনে কড়া পাহারার মধ্যে থাকতেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।

অতিথি ভবনে রূপান্তর

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর গণভবনে কার্যক্রম অনেকটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ১৯৮৫ সালে এইচ এম এরশাদ সরকার গণভবন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।

সংস্কার শেষে ১৯৮৬ সালে ভবনের নাম পরিবর্তন করে ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন করতোয়া’ হয়। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এই ভবনেই রাতযাপন করেন।

১৯৮৮ সালে আরেক দফা সংস্কারের পর এরশাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং কাজী জাফর আহমেদ সেখানে অফিস করতেন।

তখনকার রাষ্ট্রপতি এরশাদ দুই ঈদের সময় গণভবনে সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর অতিথিশালা হিসেবেই থাকে গণভবন।

গত ৩ আগস্ট গণভবনে এক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। এরপর আর গণভবনে তার কোনও ছবি আসেনি।

আবার প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাবার স্মৃতিবিজড়িত গণভবনেই ওঠার সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভবনটিতে ওঠার পর বাড়িটি নিজের করে নেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এক সিদ্ধান্তে ১ টাকার বিনিময়ে গণভবন ইজারা বা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তাকে, যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা ওঠে।

২০০১ সালে আওয়ামী লীগের বিদায়ের পর লতিফুর রহমান নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই শেখ হাসিনার নামে গণভবনের ওই বরাদ্দ বাতিল করে দেয়।

এরপর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গণভবনের নাম পাল্টে ‘প্রাইম মিনিস্টারস্ অফিস’ করেছিলেন। তিনি ওই অফিস ব্যবহার না করলেও দুই বার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ গণভবনে উঠবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেজন্য সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হয়।

পরে আর তিনি গণভবনে ওঠেননি, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উঠেছিলেন তিনি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও যমুনাতেই উঠেছেন।

গত ৫ আগস্ট গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। পরে তিনি একটি উড়োজাহাজে চেপে ভারতে যান।

আবার শেখ হাসিনার ঠিকানা

২০০৯ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে গণভবনে ওঠেন। এই দফায় ব্যাপক সংস্কার করা হয় ভবনটিতে।  

ভবনের ভেতরে মূল ফটকের পাশে আলাদা একটি ভবন তৈরি হয়। সেখানে সাংবাদিকদের জন্য স্থাপিত হয় প্রেস সেল। এই ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সব কর্মকর্তা, নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসএসএফ, পিজিআর, আর্মড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্যও আলাদা আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য সচিব, সামরিক সচিবের জন্য করা হয় আলাদা অফিস ভবন।

নতুন করে তৈরি করা হয় ১৩০ আসনের একটি ব্যাংকোয়েট হল। গণভবনের মুল ভবনের ওপর ও নিচতলা মিলিয়ে আয়তন ৩৭ হাজার বর্গফুট। ব্যাংকোয়েট হল নির্মাণ শেষে মোট আয়তন দাঁড়ায় ৫৭ হাজার বর্গফুটে।

দোতলা গণভবনের ওপর-নিচ তলায় রয়েছে বিশাল সাইজের ছয়টি কক্ষ। ওপর তলায় আছে ৫টি স্যুইট এবং নিচতলায় আছে ৬টি স্যুইট। ওপর তলায় একটি কনফারেন্স লাউঞ্জ রয়েছে, নিচতলায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর অফিস কক্ষ। শরীর চর্চার জন্য একটি ব্যয়ামাগারও রয়েছে ভবনে।

গণভবনের ভেতরে হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য রয়েছে হেলিপ্যাড।

গণভবন রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জন্য ৪ একর এবং কর্মচারীদের আবাসনের জন্য ৩ একর জায়গায় ভবন রয়েছে।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেও গণভবনকে নিজের করে নেওয়ার উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে তার সরকার বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিরাপত্তায় ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করে। সেই আইনে লেখা ছিল, বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার।

এর মাধ্যমে সরকার প্রধানের পাশাপাশি এই বাড়িতে থাকার আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

গণভবনে শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে সবজি চাষ হতো।

গণভবনে শেখ হাসিনার খামার    

গণভবনের ভেতরে বিশাল লন ছাড়াও রয়েছে দুটি গোলাপ বাগান, দুটি বারোয়ারি ফুলের বাগান, ফলজ বাগান। সেখানে শেখ হাসিনার উদ্যোগে সবজিসহ নানা ফসল চাষ হতো।  

গণভবনের উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি লেক। লেকের পশ্চিম দিকে রয়েছে শান বাঁধানো ঘাট। এই লেকেও মাছ চাষ করা হয় শেখ হাসিনার উদ্যোগে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম কয়েক বছর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলায় দেশের জনগণকে প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

“এরই ধারাবাহিকতায় তিনি নিজে গণভবন আঙিনার পতিত প্রতি ইঞ্চি জমিকে উৎপাদনের আওতায় এনেছেন এবং জনগণের প্রতি করা নিজের আহ্বানকে বাস্তবে রূপদান করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।”

তখন জানা গিয়েছিল, গণভবনের বিশাল আঙিনায় হাঁস-মুরগি, কবুতর, গরু পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ধান, শাক-সবজি, ফুল-ফল, মধু ও মাছ চাষ করছেন শেখ হাসিনা।

তিল-সরিষার মতো পেঁয়াজও চাষ করেছেন তিনি। সেই মৌসুমে প্রায় ১০০ মণের মতো পেঁয়াজ পাওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল। গণভবনের পুকুরে তার রুই, কাতল, তেলাপিয়া, চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষের কথাও বলা হয়েছিল।

গণভবনের ভেতরে শেখ হাসিনার সবজি ক্ষেত রক্ষণাবেক্ষণ ও লেকে মাছ ধরার ছবিও বিভিন্ন সময়ে এসেছিল।

গণভবনের লেকে মাছও ধরতেন শেখ হাসিনা।

তছনছ ভবন দাঁড়াবে জাদুঘর হয়ে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আন্দোলনে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ যখন চরমে, তখন ৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আলোচনার জন্য গণভবনের দরজা খোলা

আন্দোলনের তোড়ে দুই দিন পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে হেলিকপ্টারে গণভবন ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর সেই দরজা আক্ষরিক অর্থেই খুলে গিয়েছিল। সেদিন বিকালে জনতার উল্লাস মিছিল ঢুকে পড়ে গণভবনে, শেখ হাসিনার শোবার ঘর থেকে শুরু করে পুরো গণভবন হয়ে ওঠে সাধারণের অবাধ বিচরণ ভূমি।

শেখ হাসিনা বিদায় নেওয়ার পর গণভবনের লেকে উল্লসিত জনতার জলকেলি।

ভবন তছনছের পাশাপাশি যে যা পেয়েছে, তাই নিয়ে গিয়েছিল সেদিন। খামারের সবজি থেকে শুরু করে লেকের মাছ ধরে নেওয়ার দৃশ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে আসে।

শেখ হাসিনা বিদায় নেওয়ার পর গণভবনে ঢুকে পড়ে জনতা, ক্ষেতের সবজি থেকে শুরু করে যা পায়, তাই নিয়ে আসে।

৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ বাতিল করা হয়। ফলে গণভবনে থাকার আইনি অধিকার হারান শেখ হাসিনা।

সেই গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “এটা নামের মতো গণের ভবন হয়ে উঠতে পারেনি। এ দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা একটা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এটাকে জয় করেছে। এটাকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।”

গণভবনে বসেই ৩ আগস্ট আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পরদিন ছাত্র-জনতার আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ফলে জনতার রুদ্ররোষ এই ভবনের ওপর গিয়েও পড়ে বলে মনে করা হয়।

জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কাজ শুরুর বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “খুব দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। জনগণ যেভাবে বিজয় করেছে, সেই অবস্থাতেই রাখা হবে। এর মধ্যেই ভেতরে একটা জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করব। যাতে অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত