হিজবুত তাহরীর ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ সংগঠন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, এই দুই সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।
এর আগে গত বুধবার নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন তার এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া পোস্টে অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুত তাহরীর ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে ড. ইউনূসের সরকার।’
তার এই পোস্টটি অসংখ্যবার রিপোস্ট হয়, বহু মানুষ সেখানে কমেন্ট করেন। বিষয়টি নিয়ে সাদাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শুরু হয় আলোচনা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস নামের ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি পোস্ট দিয়ে এ দুটি সংগঠন সম্পর্কে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়।
সেখানে বলা হয়, “উগ্রপন্থী সংগঠন হিজবুত তাহরীর এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সব উগ্রপন্থী সংগঠনের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে। সম্প্রতি ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন, যা আমাদের নজরে এসেছে। তিনি এই সপ্তাহের শুরুতে দাবি করেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুটি গ্রুপের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তার এই দাবি সত্য নয়।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আরও জানায়, গত কয়েক দশকে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই দুই গ্রুপসহ অন্যান্য উগ্রপন্থী সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের নেই।
এতদিন গোপনে কার্যক্রম চালালেও হিযবুত তাহরীর প্রকাশ্যে আসে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিম দাবি করেন, সরকার পতনের আন্দোলনেও তারা অংশ নিয়েছিলেন। তবে সেখানে সাংগঠনিক পরিচয় প্রকাশ করেননি তারা।