দেশের হকি ইতিহাসে এমন লজ্জায় আগে কখনও পড়তে হয়নি। গত ৪৩ বছর ধরে এশিয়া কাপে নিয়মিত খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু এবারই প্রথম বাংলাদেশ হকি দল এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় চলমান এএইচএফ কাপের ফাইনালে উঠলেই আগামী আগস্টে ভারতে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পেত বাংলাদেশ। কিন্তু ২৫ এপ্রিল সেমিফাইনালে ওমানের কাছে হেরে সেই স্বপ্ন শেষ পুস্কর খীসা মিমোদের।
ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সও সেভাবে চোখে পড়ার মতো ছিল না। গতি, ফিটনেস সব দিক দিয়েই পিছিয়ে ছিল আশরাফুল ইসলামরা।
সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে খেলোয়াড়রা অনুশীলন করেননি। জাকার্তার শপিং মলে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন সবাই- এমন অভিযোগ করেছেন বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থানরত হকি সংগঠক সাজেদ এএ আদেল।
জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আদেল জানিয়েছেন, “খেলোয়াড়েরা সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কেনাকাটার মধ্যে ব্যস্ত ছিল। মাঠে ওদের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল যেন পেছন থেকে কেউ টেনে রেখে দিয়েছে। খুব ক্লান্ত ছিল ওরা। আসলে খেলার আগে দিন ওরা একটুও অনুশীলন করেনি। “
সেমিফাইনালের আগে কিভাবে টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের কেনাকাটা করার জন্য অনুমতি দিয়েছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, “আমার প্রশ্ন হলো কিভাবে ম্যানেজমেন্ট ওদের ছুটি দিল? এটা তো হতে পারে না। এসব দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। যেখানেই খেলা হোক ব্যক্তিগতভাবে সব জায়গায় যাই। যেহেতু আমি মাঠের লোক তাই বেশি খারাপ লেগেছে। এখানে আমি কোনও অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে আসিনি। তবে টেকনিকাল পয়েন্ট অব ভিউতে বলব সেমিফাইনালের আগের দিন কেন ওরা বাইরে থাকবে? যেহেতু পরের দিন খেলা। ওরা গেম প্লান করবে। এমন তো না যে খেলোয়াড়রা বিনা অনুমতিতে বের হয়েছে। ওদের খেলা দেখে মনে হয়েছে অতি আত্মবিশ্বাসী ছিল খেলোয়াড়েরা।”
ওদিকে রবিবার টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে কাজাখস্থানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ।
