শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ওঠা পদত্যাগের দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন তিনি।
শনিবার রাতে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন বলে জানিয়েছে বাসস।
আন্দোলনে গুলি চালিয়ে ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আসছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা সব সময় দেশের জন্য কাজ করি, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যা হবে, তা মেনে নেব।”
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ৯ দফা দাবির মধ্যে এটি থাকলেও এখন সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি তুলেছে তারা। সেই দাবিতে রবিবার থেকে অসহযোগের ডাকও তারা দিয়েছে।
এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও রবিবার জমায়েত এবং সোমবার শোক মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে। তা ধরে সংঘাতে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কেউ যদি মারে, তাহলে তো কেউ বসে থাকবে না। আবার পুলিশ আঘাত পেলে তো সেলফ ডিফেন্স করবেই।”
সরকার আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “এখন আন্দোলন করছে বিএনপি-জামায়াত। এরপরও দাবি থাকলে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার দ্বার খোলা আছে। তাদের আলোচনায় যাওয়া উচিৎ।”
আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এপর্যন্ত ১৩৪ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। অন্য শিক্ষার্থীদেরও জামিন দেওয়া হবে। ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে যারা সরাসরি হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের ছাড়া হবে না।”
সহিংসতায় শিশু নিহতের যে পরিসংখ্যান জাতিসংঘ সংস্থা ইউনিসেফ দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই-একজন কিশোর নিহত হতে পারে, কোনও শিশু মারা যায়নি।
আসাদুজ্জামান কামাল জানান, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল থাকবে। অন্যান্য জেলায় স্থানীয় প্রশাসন কারফিউর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।