Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

বেনজীরের ‘দোষ’ জানা নেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

টিএসটিতে ছাত্রলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি : সংগৃহীত
টিএসটিতে ছাত্রলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি : সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়াসহ নানা কারণে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ। তার বিভিন্ন সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত, সম্পদ অনুসন্ধানে তৎপর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, এ বিষয়ে জানতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাকে তলবও করা হয়েছে।

আগামী ৬ জুন তিনি দুদকে হাজির হবেন কিনা, সেটি নিয়ে যখন জল্পনা-কল্পনা চলছে তখন জানা গেল, বেনজীর আহমেদ কোথায় আছেন না জানে না সরকার। এমনকী তার অপরাধ সম্পর্কেও জানা নেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশ ছেড়েছেন তিনি।

এ বিষয়েই শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। জবাবে তিনি বলেছেন, বেনজীর কোথায় আছেন সে বিষয়ে কিছু জানেন না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

সাবেক পুলিশ প্রধানের দুর্নীতি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যদি কেউ অন্যায় করে থাকেন, অন্যায়ভাবে ধন-সম্পদ কুক্ষিগত করে থাকেন, আমাদের দেশে সেই অনুযায়ী বিধান রয়েছে, বিচার হবে। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

“সে কী দোষ করেছে, কী না দোষ করেছে, সেগুলো আমাদের কাছে এখনও কোনও তথ্য নেই। এগুলোর তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পরে জানা যাবে তিনি দোষী, না নির্দোষ কিংবা কত পরিমাণ অর্থ বানিয়েছেন, কর ফাঁকি দিয়েছেন বা সম্পদ বানিয়ে তার তথ্য দেননি। এগুলো আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধানের আগে আমার মুখ দিয়ে বলা সঠিক নয়।”

বেনজীরের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “‘”আমি এখনো সঠিক জানি না, তিনি আছেন নাকি চলে গেছেন। আমাকে জেনে কথা বলতে হবে।”

বেনজীরকে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “সে যদি নিষেধাজ্ঞার আগে চলে গিয়ে থাকে…। আমি এখনও কিন্তু সঠিক জানি না, সে আছে নাকি চলে গেছে। আমাকে জেনে কথা বলতে হবে। তিনি আছেন কি না, না আছেন, সেটা আমি এখনো সুনিশ্চিত নই।”

বেনজীরের ঘটনায় পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “কোনও ব্যক্তি যদি কিছু করে থাকে, তার দায় প্রতিষ্ঠান নেয় না। আমাদের পুলিশ বাহিনী অনেক ভালো কাজ করছে, অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী অনেক কষ্ট করে। জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন, কোভিডসহ যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তারা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছে।”

দুই বছর আইজিপির দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালে অবসরে যান বেনজীর আহমেদ। এর আগে ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে। তারও আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ছিলেন।

সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বেনজীরের বিপুল পরিমাণ অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তৎপর হয় দুদক।

গত ২৩ ও ২৬ মে আলাদা দুইটি আদেশে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, তিন মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ও জাহরা জারিন বিনতে বেনজীরের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত।

বিপুল পরিমাণ সম্পদের বিষয়ে জানতে সাবেক আইজিপিকে আগামী ৬ জুন স্বপরিবারের হাজির হতে তলব করেছে দুদক।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত