সোমালি দস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের শিগগির মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। তবে রোজার ঈদের আগেই তারা মুক্তি পাবেন কিনা কিংবা কবে পাবেন সে তারিখ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর পাড় এলাকায় ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
জলদস্যুদের হাতে আটক ২৩ নাবিককে ঈদের আগে মুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছিলেন স্বজনরা। বিষয়টির অগ্রগতি সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের উপর নানামুখী চাপও রয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমুখী চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।”
নাবিকরা ভালো আছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “তাদের খাওয়া-দাওয়ায় কোনও সমস্যা হচ্ছে না। তারা কেবিনে আছেন।
আলোচনায় অনেকটুকু অগ্রগতি হলেও মুক্তির দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলে জানালেন তিনি। বলেন, “আমরা আশা করছি সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।”
গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কবির গ্রুপের এস আর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল জাহাজটি। জাহাজের সঙ্গে জিম্মি ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।
ছিনতাইয়ের নয় দিনের মাথায় জলদস্যুরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। এখন মুক্তিপণ নিয়ে দর কষাকষি চলছে বলে জানা গেছে। সেটি চূড়ান্ত হলেই মুক্তির স্বাদ পাবেন বাংলাদেশি এই ২৩ নাবিক।