রোজায় প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম চড়া। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলের দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। পণ্যের অগ্নিমূল্য নিয়ে ভোক্তাদের হা-হুতাশের শেষ নেই।
হরহামেশাই ক্রেতাদের দ্রব্যমূল্য নিয়ে অভিযোগ করতে শোনা যায়। বাজারে গিয়ে চড়া মূল্য চুকিয়ে নাকাল হওয়া ক্রেতার সংখ্যাই যেন এখন বেশি। অনেক গুরুতর অভিযোগ থাকলেও ক্রেতার কিছু করার থাকে না।
বাজারে চরম অস্থিরতা চললেও পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান-দপ্তরগুলোর নেই দৃশ্যমান তৎপরতা। ফলে ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছাচারিতা বেড়ে চলেছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার (১৫ মার্চ) ভোক্তা অধিকার দিবস পালন করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হচ্ছে বাংলাদেশেও। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর মধ্যে রয়েছে সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে মূল্যছাড়ে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ।
তবে এই দিবস ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, ভোক্তার অধিকার নিয়ে অধিদপ্তর কতটা তৎপর? আর তৎপরতা থাকলে বাজারের অগ্নিমূর্তি কেন?
ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, কেবল রোজার মাস নয়, সারাবছর তারা ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যখন কোনও পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না—তা তদারকি করে ভোক্তা অধিদপ্তর। ভেজাল বিরোধী অভিযানসহ অনেক ধরনের কাজ করছে এই অধিদপ্তর।
বাজারে নেই তৎপরতার প্রতিফলন
বাজারে ইফতার পণ্যের দাম বেশ চড়া, যার মধ্যে খেজুর অন্যতম। রমজানের আগে থেকেই এই অভিযোগ। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই ধরনের খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বাজারে সরকারের এই নির্দেশনার কোনও প্রতিফলন নেই। রোজা শুরুর পরও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে একই ধরনের খেজুর ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
নানা আলোচনা-সমালোচনার পর গত ১২ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে খেজুরের দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়।
সরকার প্রতি কেজি অতি সাধারণ বা নিম্ন মানের খেজুরের যৌক্তিক দাম ১৫০-১৬৫ টাকা, এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
তবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট, মহাখালী ও কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি জাইদি খেজুর ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অতি সাধারণ ও নিম্ন মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার আশপাশে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পণ্য তো আগেই কেনা হয়েছে বেশি দামে, এখন কম দামে বিক্রি করব কীভাবে? সরকার যদি রোজার আগে থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করত তাহলে দাম কমত।
শুধু খেজুর নয়, বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাড়তি মূল্য নিয়ে প্রশ্ন করলে একই রকমের জবাব মেলে বিক্রেতাদের কাছ থেকে।
কী বলছে অধিদপ্তর
সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ একটি আইন করে ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে। তাতে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে কী কী আইনি প্রতিকার পাওয়া যাবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রতিষ্ঠিত করা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “অধিদপ্তর থেকে দেশের সর্বস্তরের ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ করতে আমরা অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। ভেজাল ও নকল পণ্য বিক্রি বন্ধ করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি বন্ধ করা, নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি বন্ধ করা- এমন অনেক কাজ আমরা করছি।
“কিন্তু এখন এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ধরন বদলাচ্ছে। ভোক্তাদের প্রলোভন দেখিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির দরকার বেশি। কারণ এসব ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অধিদপ্তরের কাছে অনেকেই অভিযোগ নিয়ে আসে। ততক্ষণে অপরাধী চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়।”
তিনি বলেন, “এ কারণে চলতি বছর ভোক্তা অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য হিসেবে আমরা নির্ধারণ করেছি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি’।”
ক্রেতার সচেতনতায় কী করা হচ্ছে
ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারা বা সেবা পাওয়া ভোক্তার অধিকার। কিন্তু অধিকার আদায়ে ক্রেতার যাওয়ার কোনও জায়গা আছে কি? ক্রেতা কি জানেন অধিকার আদায় কীভাবে করা যায়?
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।
ভোক্তা অধিকার আইনে ভোক্তা-বিরোধী কার্যকমের বিষয়ে সরাসরি ভোক্তাদের অভিযোগ জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৬ (১) অনুযায়ী, “যেকোনো ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন ভোক্তা বা ভোক্তা হইতে পারেন, এই অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।”
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই অভিযোগ নিষ্পত্তি করে। এক্ষেত্রে ভোক্তাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের দণ্ড প্রদান করতে পারে অধিদপ্তর। আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ ভোক্তাকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরে সরাসরি গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা যায়। প্রতিটি জেলায় ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এই অভিযোগ নেওয়া হয়। তাছাড়া অনলাইনে ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করা যায়। একই সঙ্গে অধিদপ্তরের হটলাইনে ফোন করেও অভিযোগ দেওয়া যায়।
যেখানে অভিযোগ করা যাবে
ঢাকার কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়। মহাপরিচালকের এ কার্যালয়ের পাশাপাশি একই ভবনে অবস্থিত জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রেও ই-মেইল বা ফোন করে অভিযোগ করতে পারবেন ভোক্তারা।
এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়েও রয়েছে অধিদপ্তরের কার্যালয়। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরে বিভাগীয় পর্যায়ের কার্যালয়ে অভিযোগ করা যাবে। প্রত্যেক জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছেও অভিযোগ করেও সমাধান চাওয়া যাবে।
তবে আইনটিতে বলা হয়েছে, ভোক্তা অধিকার-বিরোধী কাজের অভিযোগে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা যাবে না।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যে কর্মকর্তা বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেবেন তার কাছেই অভিযোগ করা যাবে।
যেভাবে অভিযোগ দায়ের করতে হবে
১. দায়েরকৃত অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে।
২. ফ্যাক্স, ই-মেইল, ওয়েব সাইট, ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে; বা
৩. অন্য কোনও উপায়ে;
৪. অভিযোগের সাথে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রশিদ সংযুক্ত করতে হবে।
অভিযোগকারী তার পূর্ণাঙ্গ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করবেন।
কী ঘটলে অভিযোগ দেওয়া যায়
পণ্যের মোড়কের গায়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, ব্যবহার-বিধি, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাত করার তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ না থাকলে সে বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ দাখিল করা যায়।
যেসব পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেসব পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করলে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন ভোক্তারা।
ধার্য্যকৃত মূল্যের বেশি মূল্য আদায় করলে ভোক্তা অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করতে পারেন সাধারণ ভোক্তারা। ভেজাল পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করলেও অভিযোগ দায়ের করা যাবে।
খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মেলালেও অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন ভোক্তারা। আইন দ্বারা নিষিদ্ধ এমন কোনও পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাত করলেও অভিযোগ করতে পারবেন ভোক্তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারা অনুযায়ী, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করলে এবং ৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করলে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন ভোক্তারা।
এছাড়া ওজনে কারচুপি, ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি, পরিমাপে কারচুপির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন ভোক্তারা।
এ ধরনের ভোক্তা-বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে আইনে।
এছাড়া নকল পণ্য প্রস্তুত বা উৎপাদন করলে, সেবা গ্রহীতার জীবন বিপন্ন করলে, অবহেলার কারণে সেবাগ্রহীতার ক্ষতি সাধন হলে, মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দাখিল করলে, একই অপরাধ বারবার সংঘটন করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে প্রতিকার পেতে পারেন অভিযোগকারী।
অভিযোগ করার প্রবণতা কম
আইনে অনেক ধরনের অভিযোগ করার সুযোগ দেওয়া হলেও অভিযোগ করার প্রবণতা কমে এসেছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) অভিযোগ দাখিল করে আর্থিক পুরস্কার পেয়েছেন ৪৯৬ জন ভোক্তা। আর্থিক পুরস্কারের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তবে মোট আদায়কৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১০০ টাকা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য ঘেঁটে আরও জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ২৪ হাজার ৯১৮টি অভিযোগ পায় ভোক্তা অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২২ হাজার ৫২৫টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়। অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৫১৬টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১২ মাসে ২৫ হাজার ৬০৫টি অভিযোগ দাখিল করেছিলেন ভোক্তারা। সব অভিযোগই নিষ্পত্তি করা হয়। এতে এক হাজার ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭ লাখ ৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগ দাখিল করে ২৫ শতাংশ হারে ১৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার পেয়েছিলেন এক হাজার ৩৬জন ভোক্তা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে বাজার অভিযান চালিয়ে ১৬ হাজার ৩০০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। জরিমানার পরিমাণ ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময়ে বাজার অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার ৬৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
ক্রেতা সুরক্ষায় করণীয় কী
বাংলাদেশে যে হারে ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘন হয়, তার তুলনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগের সংখ্যা অনেক কম।
ভোক্তার অধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সেজন্য আইনের ব্যবহার আরও বেশি হওয়া দরকার বলে মনে করেন অনেকে।
ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষায় ‘ক্রেতা সুরক্ষা আদালত’ রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। ১৯৮৬ সালে আইন করে এর কার্যক্রম চালু হয়। ২০১৯ সালে আইনটির সংশোধন হয়। এই আইনের বলে ভারতে মূল আদালতের কাঠামোর বাইরে তৈরি হয়েছে এই আদালত। ভোক্তা সেখানে গিয়ে ক্রয় করা জিনিস নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারে। ক্রেতার অধিকার নিয়ে মামলা করতে পারে।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ও রয়েছে। এর মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার অনেকটাই নিরাপদ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যদিও এখনও অনেক পথ বাকি।