চীন দীর্ঘমেয়াদে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনা বন্ধ রাখলে এর প্রভাব দেশটির নিজস্ব উড়োজাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কম্যাক-এর ওপরও পড়তে পারে। কারণ এখনও চীনের কোম্পানিটি এখনও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এই উত্তেজনার প্রভাব বহুমূল্যবান উড়োজাহাজ খাতে পড়লে উভয় দেশের জন্যই তা বড় ধরনের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।
উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চীনকে ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ বাজার হিসাবে দেখে। বহু বছর ধরে বোয়িং ছিল চীনে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ শিল্প রপ্তানিকারক।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের উড়োজাহাজ, মহাকাশযান ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি করেছে চীনে। বিপরীতে চীন থেকে আমদানি ছিল খুবই নগণ্য।
চীনের সরকার নিজেদের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর জন্য বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাসের বিকল্প হিসাবে নিজস্ব উড়োজাহাজ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। এজন্য তারা সাংহাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কম্যাকে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে, যাতে দেশীয়ভাবে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ উৎপাদন সম্ভবপর হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক যুদ্ধ শুরুর পর বর্তমানে চীনের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে নতুন বোয়িং বিমান না কেনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আগের অর্ডার করা উড়োজাহাজ গ্রহণের জন্যও সরকারের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে বলে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে।
তবে কম্যাকের উড়োজাহাজ উৎপাদনের গতি খুব ধীর। প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত বড় ধরনের ক্রয়াদেশ পূরণে সক্ষম নয়। ফলে এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ লাভবান হয়, তাহলে তা হবে ইউরোপের এয়ারবাস।
এছাড়া উড়োজাহাজ খাতকে বাণিজ্যিক বিরোধের অংশ করে তোলার মাধ্যমে চীন আসলে নিজের একটি দুর্বলতা প্রকাশ করছে। কারণ কম্যাকের প্রধান বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সি৯১৯ তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি সরবরাহ করে আসছে জিই অ্যারোস্পেস, হানিওয়েল ইন্টারন্যাশনাল ও আরটিএক্সের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চাইলে এসব কোম্পানিকে বলতে পারেন, কম্যাককে প্রযুক্তি সরবরাহ বন্ধ করতে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করেছিল বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চীনে উন্নত প্রযুক্তিপণ্য, যেমন আধুনিক সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি এই সপ্তাহেই এনভিডিয়া জানায়, নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা চীনে চিপ সরবরাহ করতে পারবে না।
চীন তার নিজস্ব তৈরি সরু দেহের বিমান সি৯১৯’কে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ও এয়ারবাস এ৩২০নিওর বিকল্প হিসেবে তুলে ধরছে।
তবে বাস্তবে, যেখানে পশ্চিমা এই উড়োজাহাজগুলোর হাজার হাজারটি বিক্রি হয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬টি সি৯১৯ উড়োজাহাজ আকাশে উড়তে পেরেছে। আর এই বিমানগুলো কেবল চীনের অভ্যন্তরীণ রুটেই চলছে।
উদাহরণ হিসাবে এয়ার চায়নার কথা বলা যায়; চীনা কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত বছর নাগাদ তাদের বহরে মাত্র তিনটি সি৯১৯ ছিল। এই সংখ্যা তাদের মোট ৯৩০টি উড়োজাহাজের ১ শতাংশেরও কম।
২০১৭ সালে প্রথম উড্ডয়নের পর প্রায় দুই বছর আগে এই বিমানে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। এরপর থেকে কম্যাক দাবি করেছে, সি৯১৯ ইতোমধ্যে ১০ লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করেছে। তবে চীনের মধ্যেই এই উড়োজাহাজ সীমিত রুটে চলাচল করছে। গত মাসে এটি চীনের ১০ম শহরে যাত্রীসেবা শুরু করেছে। বড় বড় উড়োজাহাজ সংস্থা যেমন চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন, যথাক্রমে মাত্র ১২টি ও ৬টি রুটে এই উড়োজাহাজ চালু করেছে।
কম্যাক আন্তর্জাতিকভাবে তাদের উড়োজাহাজের প্রচার চালাচ্ছে। যেমন, গত বছর সিঙ্গাপুরের এক এয়ার শো-তে এটি প্রদর্শিত হয়েছিল। তবে এখনও বিদেশে কোনও সরবরাহের ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
এই উড়োজাহাজ চালুর আগেই কম্যাক প্রথমে চেয়েছিল ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) অনুমোদন পেতে। এটি বৈশ্বিক মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কেবল চীনের নিজস্ব অনুমোদনই পেয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো এখনও উড়োজাহাজ নির্মাণ খাতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। ব্যাংক অব আমেরিকার বিশ্লেষক রোনাল্ড জে এপস্টাইন এক প্রতিবেদনে বলেন, “বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ খাত অন্যান্য অনেক খাতের মতো সস্তা উৎপাদনের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়নি। চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ কেনা বন্ধ করলে সি৯১৯ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা পুরোপুরি ব্যর্থ হতে পারে।”
২০২০ সালের এক প্রতিবেদনে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা স্কট কেনেডি জানান, সি৯১৯ উড়োজাহাজের ৮২টি প্রধান সরবরাহকারীর মধ্যে মাত্র ১৪টি চীনা, আর তাদের অর্ধেকই বিদেশি যৌথ উদ্যোগের অংশ।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে চীনের দেশীয় সরবরাহকারী সংখ্যা বেড়েছে, তবে এখনও এটি পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।”
সি৯১৯ উড়োজাহাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিন জিই অ্যারোস্পেস ও ফ্রান্সের সাফরান গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে তৈরি লিপ ইঞ্জিন। এর ককপিট সিস্টেম সরবরাহ করেছে হানিওয়েল ইন্টারন্যাশনাল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি এসেছে আরটিএক্সের কলিন্স অ্যারোস্পেস গ্রুপ থেকে।
সি৯১৯ প্রকল্পের শুরু থেকেই চীনের সরকার চেয়েছিল, পশ্চিমা প্রযুক্তিগুলোকে দেশীয় যৌথ উদ্যোগে রূপান্তর করা হোক। এতে বিদেশি সরকারের নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে ভবিষ্যতের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে বলে তারা মনে করেছিল।
তবে মূল যন্ত্রাংশ যেমন ইঞ্জিন এখনও আমদানি করতে হয়। এমনকি যদি কম্যাকের ঘরোয়া বিকল্প সরবরাহকারী থাকেও বড় কোনও সিস্টেম পরিবর্তন করলে নতুন করে সার্টিফিকেশন নিতে হতে পারে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে।
জিই অ্যারোস্পেস জানিয়েছে, তারা সকল প্রযোজ্য আইন ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের নিয়ম মেনে চলে। হানিওয়েল ও আরটিএক্স এখনও কম্যাকের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এবং চলমান বাণিজ্যিক বিরোধের প্রভাব নিয়ে মন্তব্য করেনি।
তবে এটি স্পষ্ট, বেইজিং তাদের দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর ওপর কম্যাকের বিমান কেনার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে এবং পশ্চিমা বিকল্পগুলো এড়িয়ে চলতে বলছে।
তাতেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কম্যাকের উড়োজাহাজ বোয়িং ও এয়ারবাসের জন্য এখনও বড় কোনও হুমকি নয়।
প্রশ্ন হলো—ভবিষ্যতে কম্যাক কোথায় অবস্থান করবে? সরকারের বিপুল অর্থ সহায়তা ও প্রযুক্তিতে অগ্রসর হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের ফলে, চীনের শিল্প খাত একাধিক ক্ষেত্রে এমন সব জায়গায় প্রবেশ করেছে, যেগুলো পশ্চিমা কোম্পানিগুলো এক সময় চীনের সাধ্যের বাইরে বলে মনে করত। এর উদাহরণ হলো হুয়াওয়ের টেলিকম যন্ত্রপাতি, ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও বিওয়াইডি এর বৈদ্যুতিক গাড়ি।
চীনের গাড়ি নির্মাতারা যেভাবে বিশ্বজুড়ে প্রবেশ করেছে, তা দেখে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার এখন কম্যাক নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ মাসে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, “তারা এখন বোয়িং ও এয়ারবাসের বিরুদ্ধে প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এটি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হওয়া উচিৎ।”
এই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট কমিটির এক শুনানিতে কম্যাক সম্পর্কে জানতে চাইলে বোয়িং-এর প্রধান নির্বাহী কেলি ওর্টবার্গ এ বিষয়টি হালকাভাবে উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, “সেনেটর, কম্যাক আমাদের একজন প্রতিযোগী। তবে আমাদের আরও বড় প্রতিযোগী রয়েছে ইউরোপে। যার সঙ্গে আমরা আমাদের সব বাজারেই প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা করি।” কম্যাক ভবিষ্যতে আরও উড়োজাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনায় সি৯১৯-কে ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করতে চায়। এই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে চীনের এই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
বাইডেন প্রশাসন ও ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসন—উভয়ই কম্যাককে চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করেছে। তারা জানিয়েছে, বেইজিং বেসামরিক প্রকৌশল খাতকে সামরিক খাতের সঙ্গে একীভূত করার কৌশল গ্রহণ করেছে, যাতে পিপলস লিবারেশন আর্মিকে আধুনিকায়ন করা যায়। তবে এখনও এমন কোনও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়নি, যা কম্যাককে সরাসরি প্রভাবিত করে।
যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত কম্যাকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি। কারণ এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাছাড়া সি৯১৯ উড়োজাহাজটি সামরিক দিক থেকে খুব বেশি সক্রিয় নয়, যদিও এটি ভবিষ্যতে একটি সামরিক পরিবহন বিমানে রূপান্তরিত হতে পারে।
সি৯১৯ হলো চীনা উড়োজাহাজ প্রযুক্তির শীর্ষ নমুনা। এটি চীনের প্রকৃত সক্ষমতার সূচক নয়।
ফেরত গেল বোয়িং
বোয়িংয়ের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ চীনে সরবরাহের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তা গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছে বলে ফ্লাইট ট্র্যাকিং তথ্য থেকে জানা গেছে।
এই ঘটনা বলছে, সাংহাইয়ের কাছে বোয়িংয়ের প্রধান ডেলিভারি কারখানা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান শুল্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
চীনের ঝোউশান শহরে বোয়িংয়ের নির্ধারিত জায়গায় কয়েকটি উড়োজাহাজ চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও হস্তান্তরের অপেক্ষায় ছিল। এর মধ্যে একটি বিমানের ফিরে যাওয়া ইঙ্গিত দেয়, যে শিল্প খাতটি এতদিন শুল্কমুক্ত ছিল, সেখানে সরবরাহ ব্যবস্থা এখন বিঘ্নিত হচ্ছে।
শুক্রবার প্রথম দফার বোয়িংয়ের একটি উড়োজাহাজ হস্তান্তরিত না হয়ে ফেরত যায়। এটি ঝোউশান থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম অঞ্চলের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে যাত্রাবিরতি দিয়ে সিয়াটল কারখানায় যাবে উড়োজাহাজটি।
ফেব্রুয়ারি মাসে বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণকারীদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ওই বোয়িং বিমানে শিয়ামেন এয়ারলাইন্সের রঙ ও লোগো ছিল।
শিয়ামেন হলো চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
উড়োজাহাজটি শিয়ামেন এয়ারলাইন্সকে সরবরাহ করার কথা ছিল বলে বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য দেয়নি।
দ্য এয়ার কারেন্ট নামক একটি এভিয়েশন-সংক্রান্ত প্রকাশনা প্রথম জানায়, বোয়িং ঝোউশান থেকে হন্তান্তর হয়নি এমন কিছু উড়োজাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে। একইসঙ্গে তারা জানায়, একটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চীনা এয়ারলাইন বোয়িং বিমানের লিজ চুক্তি থেকে সরে এসেছে।
বোয়িং এসব বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে ৫ হাজার মাইল দীর্ঘ এই ফেরত যাত্রা বোঝায় যে চীনে বোয়িংয়ের ব্যবসা এখন জটিলতার মুখে।
ব্লুমবার্গ নিউজ এ সপ্তাহের শুরুতে জানায়, ট্রাম্পের ‘পাল্টা শুল্ক’ নীতির জেরে চীন বোয়িং উড়োজাহাজের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
বেইজিং কিংবা চীনের সরকারি গণমাধ্যম এখনও এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
এভিয়েশন ও মহাকাশ শিল্পের জ্যেষ্ঠ সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানায়, তারা চীনে বোয়িং উড়োজাহাজের আমদানি বন্ধে কোনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার কথা জানে না।
তবে খাত সংশ্লিষ্ট অনেক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক একমত যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক আরোপ কার্যত বোয়িং আমদানিকে থামিয়ে দেবে।
এক জ্যেষ্ঠ শিল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেন, বোয়িং ও তাদের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই বাস্তবতার ভিত্তিতে পরিকল্পনা করছে যে, আপাতত তারা চীনে বিমান সরবরাহ করতে পারবে না।
তথ্যসূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও রয়টার্স