চেঙ্গিস খানের দেশ মঙ্গোলিয়া ফের এক নতুন রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ওইউন-এর্দেন লুভসাননামস্রাইয়ের পরিবারের বিলাসী জীবনযাপনের বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভ থেকে এই সঙ্কট।
গত দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানী উলানবাটরের রাস্তায় তরুণদের বিক্ষোভ চলছে। এই চাপে মঙ্গলবার আস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রী ওইউন-এর্দেন পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
গণতান্ত্রিক মঙ্গোলিয়া একটি ভূমিবেষ্টিত দেশ। সেখানে জনসংখ্যা মাত্র ৩৫ লাখ। এটি দুই পরাশক্তি চীন ও রাশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সঙ্কট দেশটির গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
বিলাসবহুল গাড়ি ও হ্যান্ডব্যাগ
সোশাল মিডিয়ায় হওয়া পোস্ট থেকে মূলত বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। পোস্টগুলো দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। পোস্টগুলোতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী ওইউন-এর্দেনের ২৩ বছর বয়সী ছেলে তার বাগদানের বিলাসী আয়োজন করেছে। এতে হেলিকপ্টারে চড়া, দামি আংটি, ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগ ও একটি অত্যাধুনিক গাড়ি দেখা যায়।
এমন সব পোস্ট দেখার পর জনমনে প্রশ্ন ওঠে—প্রধানমন্ত্রীর ছেলে কীভাবে এত সম্পদ অর্জন করল? বিশেষ করে তখন, যখন প্রধানমন্ত্রী নিজেকে একজন গ্রামীণ ও গরিব পরিবারের সন্তান বলে প্রচার করে এসেছেন।
বিক্ষোভ সংগঠন ‘অগৎসরোহ আমারহান’ (রিসাইনিং ইজ ইজি)-এর ২৮ বছর বয়সী সদস্য আমিনা বলেন, “কোনও দৃশ্যমান আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও বিলাসবহুল ব্যাগ, ব্যক্তিগত ভ্রমণ এবং উচ্চমানের জীবনযাপনের যে প্রদর্শনী তারা করেছে, তা সাধারণ মঙ্গোলিয়ান নাগরিকের মুখে চপেটাঘাতের মতো।”
নিরাপত্তাজনিত কারণে আসল নাম প্রকাশে রাজি না হওয়া আমিনা বলেন, এই বিক্ষোভ কেবল সোশাল মিডিয়ায় বিলাসিতার ছবি প্রকাশের বিরুদ্ধে নয়—এটি শাসক শ্রেণি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্বের বহিঃপ্রকাশ।
জনরোষ আরও বেড়েছে দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব মঙ্গোলিয়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি রাজধানী শহরের দূষণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেখানে দেশের অর্ধেক মানুষ বসবাস করেন।
আমিনা বলেন, “মঙ্গোলিয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। মানুষ তাদের মাসিক আয়ের প্রায় অর্ধেকটুকু কর হিসেবে দিচ্ছে। অথচ খাবার, ভাড়া কিংবা ইউটিলিটি বিল মেটাতে পারছে না। এখন মানুষ আর মাসিক আয়ের ভিত্তিতে জীবন চালায় না—তারা ঋণ থেকে ঋণে, দেনা থেকে দেনায় জীবন কাটাচ্ছে।”
প্রতিদিনই উলানবাটরের কেন্দ্রীয় সুখবাতার স্কয়ারে সরকারের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছিলেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের হিসাব প্রকাশ ও পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন।
এর্দেনের পদত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই অভিযোগগুলোকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, “মঙ্গোলিয়ার আইন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়মিতভাবে বার্ষিক আর্থিক ঘোষণা দেন।”
দুর্নীতি
মঙ্গোলিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপক দুর্নীতির সঙ্গে লড়ছে। প্রায়ই এমন অভিযোগ ওঠে যে, সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীরা জনগণের অর্থ অপব্যবহার করে নিজেদের লাভবান করছেন। এর জেরে জনবিক্ষোভও হয়।
২০২২ সালে বড় ধরনের এক দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সেই ঘটনায় চীনের উদ্দেশ্যে পাঠানো কয়লার বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ওইউন-এর্দেনের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির প্রমাণ না থাকলেও, তার ছেলের বিলাসিতার ছবি জনমনে বহু পুরনো ক্ষোভকে জাগিয়ে তুলেছে।
উলানবাটারের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী আরিউনজায়া খাজিদমা। তিনি তার দুই মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমি এমন একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ চাই, যেখানে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর থাকবে। সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। ক্ষমতাবানদের মধ্যে যেভাবে বৈষম্য, অবিচার ও ঔদ্ধত্য দেখা যাচ্ছে, তা আমাকে কথা বলতে বাধ্য করেছে।”
জনগণের হতাশার অন্যতম একটি কারণ হলো, দুর্নীতির মামলাগুলো আদালতে খুব ধীরে এগোয়। এতে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
২০২৪ সালের ফ্রিডম হাউস সূচকে বলা হয়েছে, “বিচারকদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতি এখনও বড় উদ্বেগের বিষয়।”
মঙ্গোলিয়ান রাজনীতি বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার বলোর লখাআজাভ বলেন, “দুর্নীতি সূচকের দিকে তাকালে দেখা যাবে তা নিচে নেমে গেছে। এর একটি ব্যাখ্যা হলো—প্রধানমন্ত্রী অনেক দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ করলেও সেগুলোর কোনও কার্যকর পরিণতি হয়নি। এখন সবাই বিচারব্যবস্থার দিকেই তাকিয়ে আছে।”
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
বিক্ষোভের মুখেও প্রধানমন্ত্রী এর্দেন তার জোট সরকার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে মঙ্গোলিয়ার দুর্নীতি দমন সংস্থার কাছে তাদের হিসাব জমা দেন। এর্দেন বলেছেন, তদন্তে কোনও অনিয়ম প্রমাণিত হলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
মঙ্গোলিয়ার পার্লামেন্টে, যাকে স্টেট গ্রেট খুরাল বলা হয়, আস্থা ভোট হয়। ১২৬ আসনের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে উৎরে যেতে সরকারের পক্ষে ৬৪ ভোট পড়ার দরকার ছিল। কিন্তু আইনপ্রণেতাদের ৪৪ জন এর্দেন সরকারের পক্ষে ভোট দেন।
অথচ ২০২১ সালে জোটগতভাবে ৬৮টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল এর্দেনের দল মঙ্গোলিয়ান পিপলস পার্টি (এমপিপি)। এখন সমস্যা তৈরি হয়েছে জোটের মধ্যে ভাঙন। ক্ষমতাসীন জোট তাদের ছোট অংশীদার ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে বহিষ্কার করেছে। এই দলটি ৪৩টি আসন নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের কয়েকজন সদস্য বিক্ষোভে সমর্থনও দেয়।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে এর্দেন বলেন, “কঠিন এক সময়ে দেশ ও জনগণকে সেবা দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।”
পদত্যাগ করলেও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া অবধি সরকার প্রধানের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন এর্দেন।
‘বরফের চূড়া মাত্র’
রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও সম্প্রচারক জারগালসাইকান ডাম্বাডারজা বলেছেন, এই বিক্ষোভ কেবল ‘বরফের চূড়া’ মাত্র। তিনি বলেন, এর পেছনে রয়েছে দেশের বড় ধরনের অর্থনৈতিক পরিবর্তন।
২০২৪ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনর্নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ওইউন-এর্দেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি দেশের অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করে তুলবেন। বর্তমানে মঙ্গোলিয়ার অর্থনীতি প্রধানত খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। এই খাত থেকে জিডিপির এক চতুর্থাংশ আসে।
মঙ্গোলিয়ার রয়েছে বিপুল পরিমাণ কয়লা, তামা, সোনা ও ফসফোরাইটের মজুদ। দেশটির ৯০ শতাংশ কয়লা রপ্তানি হয় চীনে।
২০২৪ সালে ওইউন-এর্দেনের জোট সরকার ১৪টি নতুন মেগা প্রকল্প ঘোষণা করে। এর মধ্যে রয়েছে সীমান্ত-সংযুক্ত রেলপথ নির্মাণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির বড় ধরনের সম্প্রসারণ।
প্রধানমন্ত্রী ওইউন-এর্দেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পদক্ষেপ ছিল একটি জাতীয় সম্পদ তহবিল প্রতিষ্ঠা। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, এই তহবিলের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের সম্পদ জনগণের মধ্যে পুনর্বণ্টন করা।
২০২৫ সালের এপ্রিলে মঙ্গোলিয়ার পার্লামেন্টে ‘সভরেইন ওয়েলথ ফান্ড’ আইন অনুমোদন পায়। এই আইনের অধীনে সরকার দেশের কৌশলগত সমৃদ্ধ খনিগুলোর ৩৪ শতাংশের মালিকানা নিতে পারবে। এসব খনি দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে এমন ১৬টি খনি চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব খনি থেকে প্রাপ্ত মুনাফা জাতীয় তহবিলে জমা হবে। সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম মন্টসামের তথ্যমতে, এই তহবিল থেকে মঙ্গোলিয়ার জনগণের জন্য আর্থিক সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আবাসনের মতো খাতে অর্থ ব্যয় করা হবে।
তবে এই সিদ্ধান্ত দেশের ক্ষমতাধর ও ধনী খনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জারগালসাইখান বলেন, “এই মানুষগুলো এখন তাদের বিশাল ক্ষমতা ও সম্পদ হারানোর দ্বারপ্রান্তে। এই সম্পদের মাধ্যমে দেশে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। তাই তারা এই সরকারের বিরুদ্ধে মরিয়া লড়াই করছে।”
দুই কর্তৃত্ববাদী শক্তির মাঝে এক গণতন্ত্র
মঙ্গোলিয়া ১৯৯১ সালে গণতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে একটি সংসদীয় গণতন্ত্রে পরিণত হয়। তবে এরপর থেকে দেশটিতে বহু সরকার পতনের ঘটনা ঘটেছে এবং শাসক নেতাদের ঘন ঘন পরিবর্তন হয়েছে।
এই রাজনৈতিক অস্থিরতা অনেক মঙ্গোলিয়ানের মধ্যে প্রেসিডেন্ট খুরেলসুখ উখনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করার দাবির জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট একবার ছয় বছর মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেন।
জারগালসাইখান বলেন, “যারা প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে, তারা যুক্তি দেয়—রাশিয়া ও চীন একক-নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্র এবং তারা অনেক বেশি স্থিতিশীল। তাদের মতে, আমরা সংসদীয় পদ্ধতি চালিয়ে দেখেছি, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।”
অবশ্য প্রেসিডেন্ট খুরেলসুখ বারবার বলেছেন যে, তিনি মঙ্গোলিয়ার সংসদীয় গণতন্ত্রের কাঠামো পরিবর্তন করতে চান না। তবুও অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সংবিধানে সংশোধনের পরিকল্পনা বিবেচনায় রয়েছে।
জারগালসাইখান বলেন, “এটা মঙ্গোলিয়ার জন্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল সময়। এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য আরেকটি পরীক্ষা। স্বাধীনতা কেবল সংসদীয় পদ্ধতির মাধ্যমেই সম্ভব। যদি আমরা তা না করি, তাহলে আমরা একটি ব্যর্থ অর্থনীতি ও ব্যর্থ জাতিতে পরিণত হবো।”
সরকারের অভিযোগ ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সরকার পরিচালিত সংস্কারগুলোকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য একটি ‘শত্রুতাপূর্ণ প্রচার‘ চালানো হচ্ছে। এই প্রচারের উদ্দেশ্য হলো মঙ্গোলিয়াকে সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে ফিরিয়ে এনে আবার একটি ক্ষুদ্র, স্বার্থপর গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা ও সম্পদ কুক্ষিগত করা।
বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গোলিয়ার উচিৎ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করা। এতে দেশটির চীন ও রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমবে।
২০২৪ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গোলিয়া সফরে যান। ইউক্রেন এই সফরের নিন্দা জানায়। কারণ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আর মঙ্গোলিয়া এই আদালতের সদস্য দেশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক বোলোর বলেন, “বহু সরকার মঙ্গোলিয়াকে রাশিয়া ও চীনের মাঝে একটি গণতান্ত্রিক দ্বীপ হিসেবে দেখে। তারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে চায়। কিন্তু একই সঙ্গে তারা দেখতে চায় যে, মঙ্গোলিয়া কতটা জবাবদিহিমূলক ও স্থিতিশীল। তবেই তারা বলবে—হ্যাঁ, মঙ্গোলিয়া উন্নতির পথে।”
জনগণের হতাশা ও প্রত্যাশা
রাস্তার আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা আর রাজনৈতিক নাটক দেখতে চান না। তারা নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে বাস্তব উন্নয়ন দেখতে চান।
উলানবাটরের বিক্ষোভকারী আরিউনজায়া বলেন, “আমরা শক্তিশালী দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ চাই। চাই সরকারি কর্মকর্তারা নৈতিক মানদণ্ডে চলবেন এবং এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
তিনি আরও বলেন, “এখন সময় এসেছে—সরকার যেন জনগণের কণ্ঠ শোনে এবং কথার বদলে কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ নেয়।”
তথ্যসূত্র : সিএনএন