Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

ট্রাম্পকে গুলি : কী বলছে তার পরিবার

হামলার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে ধরেন সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। ছবি : এপি
হামলার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে ধরেন সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। ছবি : এপি
[publishpress_authors_box]

নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য করার সময় হামলার শিকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিবিসি জানিয়েছে, পেনসিলভেনিয়ায় সমাবেশস্থলের কাছাকাছি একটি ভবনের ছাদ থেকে ছোড়া গুলি ট্রাম্পের কান ফুঁড়ে গেলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যরা। তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামলার ঘটনাকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন সহিংসতা’ বলে উল্লেখ করেন।

সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডেলে তিনি এক পোস্টে লিখেছেন, “দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় আমি সিক্রেট সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”

তার বাবার প্রতি মানুষের ‘ভালোবাসা ও প্রার্থনা’র জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইভাঙ্কা লিখেছেন, “আমি আমাদের দেশের জন্য প্রার্থনা করছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি বাবা, আজ এবং সবসময়।”

নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রও। হামলার পর তার বাবাকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাম্পশনে ট্রাম্প জুনিয়র লিখেছেন, “আমেরিকাকে রক্ষায় তার লড়াই কখনোই থামবে না।”

একই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজের হ্যান্ডেলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরেক মেয়ে টিফানি আরিয়ানা ট্রাম্প এক পোস্টে তার বাবা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

রাজনৈতিক সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করে করে তিনি লিখেছেন, আজ আপনারা যেমন দেখেছেন, আমার বাবা একজন যোদ্ধা এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও আপনাদের জন্য তার লড়াই চালিয়ে যাবেন।

শনিবার সন্ধ্যার হামলায় ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প কানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলেও তার সমাবেশে আসা এক ব্যক্তি নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামলাকারীও।

যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো ব্যক্তির নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। ২০ বছর বয়সী এই তরুণের বাড়ি পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বেথেল পার্ক এলাকায়।

সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া হামলার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই হঠাৎ গুলির শব্দ হয়। সঙ্গে সঙ্গে কানে হাত দিয়ে নিচে বসে পড়েন ট্রাম্প। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত তাকে ঘিরে ফেলেন। কিছুক্ষণ পর ট্রাম্প উঠে দাঁড়ান। সে সময় ট্রাম্পের ডান কান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল। রক্ত লেগেছিল তার মুখেও।

মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দিতে শুরু করেন ট্রাম্প। ডান হাতের মুঠি শক্ত করে উপরের দিকে ছুড়ে দিয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট।’

যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ আখ্যায়িত করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সহিংসতার কোনও জায়গা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন নিরাপদ আছেন। ঘটনাটি সিক্রেট সার্ভিস তদন্ত করছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন ‘ভালো আছেন’ বলে জানিয়েছে তার প্রচার দলও। ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত