কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তদন্ত করে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তা তদন্ত করে আগামী ৬ জুনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তে প্রমাণিত ৩৫ জন রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
৩৫ রোহিঙ্গাকে ভোটার করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে কক্সবাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ রিটটি দায়ের করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ জানান, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নে ৩৭০ জন রোহিঙ্গাকে জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় এক বাসিন্দা ৩৮ জন রোহিঙ্গার নাম উল্লেখ করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।
তিনি জানান, এরপর ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ৩৮ জনের মধ্যে ৩৫ জন রোহিঙ্গার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্তে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের জড়িতদের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
তবে ভোটার তালিকায় নাম ওঠা এসব রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দেওয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র বাতিল করে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি জানিয়ে ছিদ্দিক উল্লাহ বলেন, এসব রোহিঙ্গাকে ভোটার রেখেই ওই ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হন রিটকারী। শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।
