মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত হজ পালন বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের অনেকের নাগালের বাইরে চলে গেছে। হজের খরচ এতবেশি বেড়ে গেছে যে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যারা আগ্রহী তারা নিবন্ধনের পর উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন।
২০২৩ সালে হজের খরচ রেকর্ড ছুঁয়ে যাত্রীপ্রতি সর্বনিম্ন ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। ২০২৪ সালে সেই খরচ কমিয়ে ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা করা হলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি। এই অবস্থায় গত দুই বছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে হজযাত্রীর সাড়া মিলছে না।
এমন প্রেক্ষাপটে হজের খরচ কমানোর জোর দাবি উঠেছিল আগেও। ২০২৩ সালে রিট আবেদনও করা হয়, কিন্তু সেই উদ্যোগের সুফল মেলেনি।
২০২৩ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার জনের কােটার বিপরীতে ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজে যান। তবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর জন্য কোটা নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব, বিপরীতে ৮৩, ২১৪ জন হজ পালনে যেতে পেরেছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কারণেই হজের খরচ নাগালের বাইরে চলে গেছে। এখন রাষ্ট্রক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার নতুন প্রেক্ষাপটে হজের খরচ কমানোর জন্য নতুন করে দাবি উঠেছে।
উপদেষ্টা পরিষদ গত ২৯ আগস্টের বৈঠকে হজের খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আসলে কতটা খরচ কমানো সম্ভব এবং সেটি কীভাবে হবে—তা জানতে অন্তত ১০ জন হজ এজেন্টের সঙ্গে সকাল সন্ধ্যা’র কথা হয়েছে।
তাদের অভিমত হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার চাইলে দুইটি বড় খাতে খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজকে নাগালের মধ্যে আনতে পারে। একটি হচ্ছে, বিমান ভাড়া। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বাড়ি ভাড়া। সেই দুটি খাতে খরচ কমানো গেলে ন্যূনতম প্যাকেজ জনপ্রতি সাড়ে ৪ লাখ টাকার মধ্যে নামিয়ে আনা সম্ভব।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে কাজ করছে। কিন্তু কত টাকা কমানো সম্ভব, সে বিষয়ে তারা এখনও ঐকমতে পৌঁছায়নি। সরকার ইতোমধ্যেই হজের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু হজ প্যাকেজ ঘোষণা না করায় নিবন্ধনে খুব একটা সাড়া নেই।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “হজ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় কোনও ব্যবসা করে না। ব্যবসা করে এজেন্সিগুলো। আমরা সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য একটি প্যাকেজ ঘোষণার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছি। সেটি কত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
“আমরা বিমান বাংলাদেশের সাথে বৈঠকে বসেছি। তারা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভাড়া কমানোর। একেবারে ন্যূনতম মুনাফায় তারা ভাড়া ঠিক করে আমাদের জানাবেন। সেই সাথে সৌদি আরবের ধর্মমন্ত্রীর সাথে আমরা বৈঠক করব শিগগিরই। হজ খরচের বড় অংশই তাদের। ফলে তাদের রাজি করিয়ে কতটা খরচ কমানো সম্ভব—তা নিয়ে আমর সর্বোচ্চ চ্যানেলে কাজ করব।”
খালিদ হোসেন বলছেন, “হজ প্যাকেজ খরচ নাগালের মধ্যে আনতে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি লিখে জানাব, যাতে হজের বিপরীতে ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ করা হয়। আর হজ নিয়ে সিন্ডিকেটবাজি বন্ধ করা হবে। শুধু তাই-ই নয়, আমরা চেষ্টা করছি মক্কার মিসফালাহ এলাকায় কম খরচে বাড়ি ভাড়া নিয়ে হলেও একটি ছোট প্যাকেজ নেওয়া যায় কি না। সব ধরনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে একটি গ্রহণযোগ্য প্যাকেজ নির্ধারণের।”
সেই খরচ ৪ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে কি না—জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “এখানে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান জড়িত। ফলে সবার সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এখনই বলা যাবে না। আর যেটাই হোক অক্টোবরে মধ্যেই নির্ধারণ করে ঘোষণা করা হবে।”
বিমানভাড়া কত কমতে পারে
২০২৪ সালের হজের সময় প্রত্যেক হজযাত্রীর কাছ থেকে বিমান ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে সেই ভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ২০২২ সালে বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দুই বছর (২০২০-২১) বাইরের দেশ থেকে হজে যাওয়া যায়নি। এর আগে ২০১৯ সালে বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ফলে পাঁচ বছরের ব্যবধানে শুধু বিমান ভাড়াই বেড়েছে ৬৭ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ থেকে বছরে যে কয়েকজন হাজী সৌদি আরব যান, তাদের জন্য তিনটি বিমান সংস্থা নির্ধারিত আছে। নীতিমালা অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ পরিবহন করে বাংলাদেশ বিমান, বাকি ৫০ শতাংশ পরিবহন করে সৌদি আরবের সাউদিয়া এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ার। আর যাত্রীদের ফ্লাইট ভাড়া বাংলাদেশ সরকারই নির্ধারণ করে দেয়। ফলে বাংলাদেশ বিমানের ভাড়া কমানোর বেশ সুযোগ আছে। তবে বাংলাদেশ সরকার চাইলেই সব যাত্রীকে বাংলাদেশ বিমানে পরিবহন করতে পারবে না।
সাধারণ সময়ে অর্থাৎ এখন যদি একজন যাত্রী ওমরাহ হজ করতে সরাসরি ফ্লাইটে সৌদি আরব যান, তার আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া লাগে ন্যূনতম ৭০ হাজার টাকা। একই বিমানে আপনি যদি হজ মৌসুমে যান তাহলে বিমানভাড়া গুনতে হয় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
কেন এত বেশি বিমান ভাড়া জানতে চাইলে বিমানের কর্মকর্তাদের যুক্তি হচ্ছে, হজ মৌসুমে একজন যাত্রীকে প্রথমে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দিয়ে আসতে হয়। আসার সময় কিন্তু উড়োজাহাজে সেই যাত্রী ফিরে আসে না। কারণ, তখন তার হজের কাজ শেষ হয়নি। হজের প্রক্রিয়া যখন শেষ হয়, তখন আবার বাংলাদেশ থেকে উড়োজাহাজ গিয়ে সেই হাজীকে আনতে হয়। ফলে একাধিকবার আসা-যাওয়া করতে গিয়ে বাড়তি খরচের বোঝা হজযাত্রীকেই বহন করতে হয়।”
তবে এসব ‘খোঁড়া যুক্তি’ বলছে হজ এজেন্সিগুলো। তাদের যুক্তি হচ্ছে, বিমান দুই ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করে হজযাত্রী পরিবহন করে। একটি হচ্ছে- ডেডিকেটেড ফ্লাইট, আরেকটি হচ্ছে- শিডিউল ফ্লাইট। ডেডিকেটেড ফ্লাইট হচ্ছে শুধু হজযাত্রী পরিবহন করা, সেটি শুধুই হাজীদের জন্যই নির্ধারিত। আর শিডিউল ফ্লাইট হচ্ছে, বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে হজযাত্রী পরিবহন করা। বিমান ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার যে ভাড়া নিচ্ছে, সেটি ডেডিকেটেড হিসেবে নিচ্ছে। কিন্তু শিডিউল ফ্লাইটের যাত্রীদের ভাড়া এতবেশি না হওয়া সত্বে তারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। কারণ, হজ মৌসুম ঘিরে বিমান তাদের লোকসানের বোঝাটা কমিয়ে আনতে পারে। ফলে মুনাফার সেই সুযোগ তারা হাতছাড়া করে না।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান শাহ আলম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বিদ্যমান অবস্থায় সরকার আন্তরিক হলে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা কমানো সম্ভব। ভাড়া যেহেতু বাংলাদেশ বিমান নির্ধারণ করে থাকে, তাই বাংলাদেশ চাইলে সেটি কার্যকর করতে পারে।
“আরও ভাড়া কমানোর জন্য বিমান বাংলাদেশ, সাউদিয়া এয়ারলাইনস এবং ফ্লাইনাস—এই তিনটি বিমান সংস্থার বাইরে তৃতীয় বিমান সংস্থাকে সুযোগ দিতে পারে, কিংবা সবাইকে উম্মুক্ত করে দিতে পারে। তখন প্রতিযোগিতা দিয়ে ভাড়া কমানোর সুযোগ আসবে। সেটি করা গেলে ভাড়া ৬০-৭০ হাজার টাকার বেশি কমবে। ফলে খরচ এক লাফেই ৫ লাখের কাছাকাছি চলে আসবে।”
“সেক্ষেত্রে একটি আইনি সমস্যা আছে, সেটি হচ্ছে- এখন দুই দেশের জাতীয় বিমান সংস্থা হজযাত্রী পরিবহন করছে। সবার জন্য উম্মুক্ত করে দিলে সেটি সৌদি সরকার মানবে কি না, তা আগে যাচাই করে নিতে হবে,” যোগ করেন গালফ ট্রাভেলসের মালিক শাহ আলম।
আরেক হজ এজেন্সি মালিক বলেন, একটি সহজ সমাধান করা যায়, সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশ বিমান যে যাত্রী পরিবহন করছে সেই ৫০ শতাংশ সবার জন্য উম্মুক্ত করা যায়। এক্ষেত্রে বিমান সংস্থাকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে- কোনও ট্রানজিট ফ্লাইট হলে চলবে না। তাহলে বেশ সুফল মিলবে।
হাবের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ১ লাখ ২৭ হাজার হজ যাত্রী পরিবহনের জন্য এবার দেশি-বিদেশি বিমান সংস্থার কাছ থেকে উম্মুক্ত দরপত্র ডেকে প্রতিযোগিতামূলক দর চাওয়া যেতে পারে। তাহলে অবশ্যই বিমান ভাড়া কমবে। এখন সুযোগ এসেছে সেই চেষ্টাটি করার।
সৌদির বাড়ি ভাড়া কি কমানো সম্ভব
বিমানভাড়ার পর হজযাত্রীর সবচেয়ে বড় খরচ হচ্ছে- সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া। ২০২৪ সালে সরকারি হজ প্যাকেজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এরমধ্যে সৌদি খাতেই ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। বাকিটা বাংলাদেশ খাতের খরচ। সৌদি আরবেব খরচের মধ্যে বড় অংশই বাড়ি ভাড়া, মিনা আরফায় তাবুতে থাকা, পরিবহন ও খাবারের খরচ। ২০২৪ সালে একজন হজযাত্রীকে মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া দিতে হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। মিনা আরফায় তাবুসহ আনুসঙ্গিক খরচ ছিল ৬২ হাজার টাকা।
আর ২০২৩ সালে বাড়ি ভাড়া ছিল ২ লাখ ৪ হাজার টাকা, তাবু খাতে খরচ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ২০২২ সালে বাড়ি ভাড়া ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার টাকা, আর তাবু খাতে খরচ ৬১ হাজার টাকা।
হজ এজেন্সি বিসমিল্লাহ ওভারসিজ অ্যান্ড হজ সার্ভিসের কর্ণধার মোহাম্মদ আবুল আনোয়ার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বাংলাদেশ সরকার হজের মৌসুমে যে বাড়ি ভাড়া নেয় সেটি মক্কা হারাম শরীফের একেবারে কাছে। যত কাছে বাড়ি ভাড়া নেওয়া হবে, ততই ভাড়া বেশি। একটু দূরে নিলে কিন্তু খরচ অনেক কমবে। কিন্তু বাংলাদেশি হজযাত্রীরা দূরে বাড়ি ভাড়ায় অভ্যস্ত নয়।
“এখন কাছের বাড়ি ভাড়া কমাতে সৌদি সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা করলেই কেবল সুফল মিলবে। এখন কতটা খরচ কমবে, সেটি দুদেশের আন্তরিক সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল।”
বাড়ি ভাড়াসহ সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল সৌদি আরব যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা।
অভিযোগ আছে, মোয়াল্লিমরা হাজিদের থেকে বাসা ভাড়া ও খাবার বাবদ স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। এক্ষেত্রেও যদি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে দেওয়া যায়, তাহলে এখানেও খরচ অনেক কমে আসতে পারে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টদের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “সৌদি অংশে সরকার যদি কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ করা হয় ৭০-৮০ হাজার টাকা কমাতে পারে। বিমান ভাড়া যদি ৭০ হাজার টাকা কমানো যায়, তাহলে সরাসরি দেড় লাখ টাকা খরচ কমবে। অর্থাৎ সোয়া লাখ টাকায় ন্যূনতম প্যাকেজ নির্ধারণ সম্ভব।
চার লাখ টাকায় প্যাকেজ দাবি
এবার সর্বনিম্ন হজ প্যাকেজ চার লাখ টাকা করার দাবি করে ৪ সেপ্টেম্বর ধর্ম উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী।
চিঠিতে বলা হয়েছে, একজন হজযাত্রীর ন্যূনতম খরচ হতে পারে- সৌদি আরব কর্তৃক নির্ধারিত মুয়াল্লিম ফি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বিমান ভাড়া ১ লাখ টাকা। বাসা ভাড়া, খাবার ইত্যাদি বাবদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সর্বমোট খরচ ৪ লাখ টাকা।
তার পরামর্শ হচ্ছে, হাজিদের পরিবহনে থার্ড একটি এয়ারলাইনকে সুযোগ দিলে হজ প্যাকেজের সময় কমে আসবে। ফলে বাসা ভাড়া ও খাবারের খরচও কমে আসবে।
চিঠির বিষয়ে মুফতি মোহাম্মদ আলী বলেন, “হজের খরচ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি হওয়ার কারণে, অনেকের জন্য হজ পালন কঠিন হয়ে পড়েছে। সুতরাং যদি হজের খরচ কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়, তাহলে অনেকের জন্য হজপালন করা সহজ হবে। খরচের একটা নমুনা দেওয়া হয়েছে। খাতভিত্তিক হজের খরচ কমানোর জায়গাগুলো চিহ্নিত করে ধর্ম উপদেষ্টার কাছে আমরা আবারও যাব। এটা নিয়ে কাজ করছি।”
আগামী বছরের জন্য হজ প্যাকেজ ৫ লাখ টাকা করার দাবি জানিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাবের সাবেক মহাসচিব এম এ রশিদ শাহ সম্রাটসহ বেশ কজন নেতা। হজের খরচ এত বেশি বাড়ার কারণ হিসেবে তারা পলাতক সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের সিন্ডিকেটকে দুষেছেন।
তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশে থেকে সৌদি আরবের বিমান ভাড়া কখনও ২ লাখ টাকা হতে পারে না। এই ইস্যুতে আগের সরকার ও হাব জোরাল ভূমিকা রাখেনি। কারণ, তসলিম নিজেই ফ্লাইনাস এয়ারের বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। এই বিমানটি মূলত বাজেট ক্যারিয়ার (কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন) করে। তারা ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় হজের যাত্রীর নেওয়ার কথা থাকলেও নিয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা করে।
“আমরা হজের মতো পবিত্র এই ইবাদত ঘিরে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে তা ভাঙার দাবি জানাচ্ছি”, বলেন হাবের সাবেক মহাসচিব এম এ রশিদ শাহ সম্রাট।