Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

পরোয়ানা জারি, কিন্তু শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পথ কী

শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

গণহত্যার মামলায় জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়েছে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির করতে। কিন্তু তিনি নেই দেশে। ভারত থেকে তাকে কীভাবে ফেরত আনা যাবে, সামনে আসছে সেই প্রশ্ন।

আইনজীবীরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, তার আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরানো সম্ভব।

তবে কার্যত পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে ভারত সরকারের ওপর। নয়া দিল্লি যদি না চায়, তাহলে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা সম্ভবপর হবে না বলেই কূটনীতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির পরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এখনও তাদের দেশেই রয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরও ছয় বছর প্রতিবেশী দেশটিতেই রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন তিনি।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর গঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহতদের ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন, সেই আদালতেই তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ট্রাইব্যুনালে নতুন বিচারক, আইনজীবী ও তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার পর বৃহস্পতিবারই এই আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে।

আর প্রথম দিনেই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ হয়। আদেশে দুটি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৮ নভেম্বর ধার্য করে এই সময়ের মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির করতে বলা হয়।

সরকার কী করবে?

শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফেরাতে সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চেয়েছিল শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পদক্ষেপ কী হবে?

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ জবাবে বলেন, “আদালতের নির্দেশনা এই মাত্র মিডিয়া মারফত জানতে পারলাম। আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

“আদালত এক মাস সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত আনার জন্য আমাদের যা যা করার দরকার, আমরা সেটা করব।”

কোন প্রক্রিয়ায় আনা হবে- জানতে চাইলে তিনি তা খোলসা না করে বলেন, “সেটি গুরুত্বপূর্ণ না। কোর্ট বলেছে তাদের গ্রেপ্তার করতে। এখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমার কাছে আসেনি– এটি গেছে পুলিশের কাছে। পুলিশ এটি করতে পারবে না, কারণ তিনি দেশে নেই। তখন আমরা এর সঙ্গে জড়িত হব।”

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সামনে আসেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আছে কোন প্রক্রিয়া?

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, দুই দেশের মধ্যে যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে, তার আওতায় তাকে দেশে ফেরানোর সুযোগ রয়েছে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ই ২০১৩ সালে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিটি হয়েছিল। ২০১৬ সালে সেটি সংশোধনও হয়।

এই চুক্তির সুবিধা ভারত-বাংলাদেশ উভয়ই পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে আত্মগোপনে থাকা জঙ্গি, সাত খুনের আসামি নুর হোসেনকে এই চুক্তির আওতায় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আবার ভারত পেয়েছিল উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে।

সেই বিষয়গুলো তুলে ধরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বলেন, “এখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেহেতু অসংখ্য মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারতের কাছে দাবি জানাতেই পারে যে, শেখ হাসিনাকে দেশের মাটিতে বিচার করার জন্য ফেরত দেওয়া হোক।”

শেখ হাসিনা যদি অন্য কোনও দেশে চলে যান, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমেও পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ থাকার কথা বলেন তিনি।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, “ভারত যদি বলে তাদের কাছে শেখ হাসিনা এখন আর নেই। তাহলে সেটা জাস্টিফাই করতে হবে। সরকার তো উনিসহ আরও অনেকের ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। যদি কোনও ট্রাভেল ডকুমেন্টের মাধ্যমে অন্য কোনও দেশে গিয়ে থাকেন তাহলে সে দেশ থেকেও ইন্টারপোলের মাধ্যমে নিয়ে এসে গ্রেপ্তারের সুযোগ আছে।”

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামও মনে করেন, শেখ হাসিনাসহ যারা দেশ ছেড়ে ভারতসহ অন্য দেশে পালিয়ে গেছেন, সেখান থেকে তাদের ফেরাতে সরকার ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিতে পারে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আদেশ কার্যকর করার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনে যেসব ব্যবস্থা আছে, সেসব প্রক্রিয়া এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।”

পলাতক সন্ত্রাসীদের নামে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করতে পারলেও কাউকে ফিরিয়ে আনার নজির নেই।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে এক দশকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালালেও সফল হয়নি।

গত ৫ অগাস্ট গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে সরিয়ে নেওয়া হয় শেখ হাসিনাকে।

প্রত্যর্পণ চুক্তিতেও কি প্রত্যর্পণ হবে?

শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন, তা নিশ্চিত হলেও কোন প্রক্রিয়ায় সেখানে আছেন, তা এখনও স্পষ্ট করেনি নয়া দিল্লি সরকার।

দুই দেশের আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তিতে বিভিন্ন শর্ত ও অপরাধের তালিকা রয়েছে। চুক্তির ধারা ৭ এ প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ কী এবং উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ প্রত্যর্পণের অনুরোধের জবাবে কীভাবে সাড়া দেবে, সে বিষয়েও বিস্তারিত বলা আছে।

সেই চুক্তিতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে মাসখানেক আগেই ভারতের সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টে লিখেছিলেন প্রভাস কে দত্ত।

সেখানে তিনি দেখিয়েছিলেন, চুক্তির অষ্টম ধারায় কিছু ব্যতিক্রম উল্লেখ করা হয়েছে, যার আলোকে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশই নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।

যদি কোনও প্রত্যর্পণের অনুরোধ বিশ্বাসযোগ্য না হয় কিংবা ন্যায়বিচারের স্বার্থে নয় বলে বিবেচিত হয়, সেক্ষেত্রে তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে যে কোনও দেশ। যেসব অপরাধ ‘রাজনৈতিক প্রকৃতির’, সেসব ক্ষেত্রেও এই চুক্তি প্রযোজ্য হবে না।

চুক্তির অষ্টম ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি প্রত্যর্পণকারী দেশকে সন্তুষ্ট করতে পারে যে তার বিরুদ্ধে যে অপরাধের অভিযোগ আছে অথবা যে অপরাধের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা খুবই তুচ্ছ প্রকৃতির, তাহলে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।

অথবা ওই ব্যক্তিকে (ধরে নেওয়া যাক শেখ হাসিনা) প্রমাণ করতে হবে যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি ন্যায়বিচারের স্বার্থে করা হয়নি।

প্রভাস দত্ত আরও লিখেছিলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে হত্যা, অপরাধমূলক মানবহত্যা, হত্যার উস্কানি এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধ অন্তর্ভুক্ত। এই অপরাধগুলো রাজনৈতিক প্রকৃতির অপরাধগুলোর মধ্যে পড়ে না। ফলে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার পরও শেখ হাসিনার মামলা এই ব্যতিক্রমের আওতায় নাও আসতে পারে।

তবে যদি নয়া দিল্লির কাছে মনে হয় যে শেখ হাসিনার ন্যায়বিচার না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তখন তারা বাংলাদেশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যানও করতে পারে।

ফলে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি যতটা চুক্তির বিষয়, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় বলে মনে করেন প্রভাস দত্ত।

তার ভাষ্যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারতের একজন বিশ্বস্ত বন্ধু ছিলেন শেখ হাসিনা। ভারতের প্রতি তার বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নয়া দিল্লির জন্য কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে।

শেখ হাসিনাকে গত ৫ আগস্ট আশ্রয় দেওয়ার পর ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় দলের বৈঠক হয়েছিল। তখন সর্বসম্মতভাবে তাকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা শশী থারুরসহ সাবেক কয়েকজন কূটনীতিক এর আগে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা অতিথি হিসাবে তাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা অতিথিকে ফিরিয়ে দিতে পারেন না।

শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল করলেও তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। তাকে নয়া দিল্লি সরকার ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে বলে খবর চাউর হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

আন্দোলনে নিহতদের নাম-ছবি এখন স্থান পাচ্ছে গ্রাফিতিতে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

পরোয়ানার মামলায় কী অভিযোগ?

শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাসহ আরও ৪৫ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরুর প্রথম দিনে শুরুতেই চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার আবেদন পড়ে শোনান।

এ সময় সংবিধানের বিভিন্ন সংশোধনী, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে গুম, খুন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে হওয়া মামলার পরিসংখ্যান, অর্থ পাচারের পরিসংখ্যান এবং সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনে বল প্রয়োগের তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

তাজুল আদালতে বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তে গণহত্যার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিরা প্রভাবশালী। এখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে আসামি ও তাদের লোকজন বিভিন্ন পজিশনে আছে। তাই আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মামলার তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করছি।”

তখন আদালত প্রসিকিউশন বিভাগের কাছে জানতে চায়, রাষ্ট্রীয়ভাবে আসামিদের অবস্থান জানেন কি?

জবাবে প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, “না।”

এরপর আদালত আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয় এবং ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে আদালতে আসামি হাজির করতে বলে।

পরে তাজুল সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দুটি আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

“আদালত একটি আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন। আরেকটি আবেদনে ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন।”

অন্য আসামিদের নাম প্রকাশ করেননি তাজুল। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ হলে পালিয়ে যেতে পারেন।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত