ফ্রিজের ডিপে কোরবানির ভাগের মাংস রাখার জায়গা করতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খান। ঈদ আসার আগেভাগেই ডিপ ফ্রিজের হালহকিকত দেখে নিলে মাংস রাখতে গিয়ে আর পেরেশান হতে হবে না।
এজন্য ঈদের কিছুদিন আগে থেকেই ফ্রিজের ডিপ অংশ পরিস্কার ও খালি করে নেওয়া ভালো।
ডিপ ফ্রিজে পুরু বরফ জমে থাকলে জায়গা অনেকটা নষ্ট হয়। তাই ডিপ ফ্রিজ অংশ পরিস্কার করে রাখুন ঈদের আগেই।
অনেকে ডিপ ফ্রিজে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বাটা রাখেন; এই বাটি নরমাল ফ্রিজে রাখলে ডিপ অংশে কিছু জায়গা বাড়তি পাওয়া যাবে।
জিপলক ব্যাগে মাংস ভরে ফ্রিজে রাখলে অনেক বেশি মাংস রাখা সম্ভব। মাংস ভরে জিপলক ব্যাগের ভেতরের বাতাস বার করে মুখ লক করে দিতে হবে। এই ব্যাগ চ্যাপ্টা আকৃতির হবে; তাই ডিপ ফ্রিজে বিছিয়ে বা আড়াআড়ি ভাবে অনেকগুলো ব্যাগ সাজিয়ে রাখা যাবে।
বড় বড় প্যাকেটে মাংস না রেখে এক থেকে দেড় কেজি মাংস হয় এমন ভাবে একেকটি প্যাকেট করতে হবে। এতে করে মাংস ডিপ ফ্রিজে দ্রুত জমাট বাঁধবে।
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রাখলে মাংস ফ্রিজে শীতল হয়ে জমাট বাঁধতে খুব কম সময় লাগে।
দুটো বা দুই সারি প্যাকেটের মাঝে লবণ-পানির বরফ বানানো বোতল রেখে দিলে মাংস আরও কম সময়ে জমাট বাঁধে। এজন্য এক লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম লবণ মেশাতে হবে। মাংস ফ্রিজে রাখার একদিন আগেই লবণ-পানির মিশ্রণ বোতলে ভরে বরফ জমিয়ে নিতে হবে।
ডিপ ফ্রিজের ভেতরে পেছনের অংশ থেকে শীতল বাতাস আসার ব্যবস্থা থাকলে, মাংসের প্যাকেট এমনভাবে সাজাতে হবে যেন বাতাস চলাচলের পথ ঢেকে না যায়।
কোরবানি ঈদের কদিন খুব মাংস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। এরপর আবার কিছুদিন বিরতি চলে; তখন ফ্রিজে রয়ে যায় মাংস। প্রতিবার কোরবানির সময় চিন্তা থাকে ফ্রিজে কীভাবে অনেকদিন মাংস ভালো রাখা যায়?
কোরবানির মাংস ঘরে আসা মাত্রই ফ্রিজে রাখা ঠিক হবে না একদমই; কারণ টাটকা মাংস খানিক গরম থাকে। মাংস কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে স্বাভাবিক তাপে।
যদি মাংসের গায়ে অতিরিক্ত রক্ত থাকে, তাহলে তা ধুয়ে নেওয়া ভালো। ধোয়ার পর অবশ্যই পানি পুরোপুরি ঝরিয়ে নিতে হবে।
এরপর পরিস্কার ব্যাগে মাংস ভরে নিতে হবে। ছোট ছোট ব্যাগে মাংস ভাগ ভাগ করে রাখা যায়। তাহলে মাংস অল্প অল্প করে মানে একটি-দুটি প্যাকেট হিসাবে বার করে খাওয়া যাবে।
কোরবানির সময় ফ্রিজে এক সঙ্গে মাংসের অনেকগুলো প্যাকেট রাখা হয় বলে ফ্রিজের তাপমাত্রায় নজর দেওয়া জরুরি। মাংস তাড়াতাড়ি শীতল হতে ফ্রিজের তাপমাত্রা একেবারে কমিয়ে দিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে, গরু অথবা খাসির মাংস একটু বেশি দিন রাখা গেলেও কলিজা দীর্ঘদিন ফ্রিজে রেখে খাওয়া এড়াতে হবে। অনেকদিন ফ্রিজে থাকলে পরে রান্নায় কলিজার স্বাদ কমে যায়।