প্রথমে দুই ম্যাচের শাস্তি, পরে তা নেমে আসে এক ম্যাচে। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে আবারও দুই ম্যাচের শাস্তি দেখানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এরপরই তামিম ইকবালের নেতৃত্বে শুক্রবার একত্রিত হন ক্রিকেটাররা। হৃদয়ের বারবার শাস্তির বিষয়টি সামনে আসায় নিন্দা জানান এবং শাস্তি স্থাগিতের আবেদনও করেন।
সেই আবেদন আমলে নিয়ে আপাতত তাওহিদ হৃদয়কে শাস্তি দিচ্ছে না বিসিবি। গাজী গ্রুপের বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচে খেলবেন বিসিবি। সিসিডিএম সূত্র থেকে সকাল সন্ধ্যা জানতে পেরেছে তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি এক বছর পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে টুর্নামেন্ট টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে।
ওই সূত্র জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার হৃদয়ের দুই ম্যাচের শাস্তি বহাল রাখার কথা বলে গেলেও টেকনিক্যাল কমিটির প্রধাণ নাজমুল আবেদীন ফাহিম আনুষ্ঠানিক কোন চিঠি ইস্যু করেননি। তাই হৃদয়ের শাস্তি দুই ম্যাচে বাড়ানোও হয়নি। চিঠি সিসিডিএমকে দেওয়া হলে তারা পদক্ষেপ নিতেন।
যেহেতু কোন চিঠিই ইস্যু হয়নি তাই হৃদয়ের সাজা এক ম্যাচই রয়েছে। নতুন চিঠিতে তার সাজা এক বছর স্থগিত করার ঘোষণা দিয়ে সিসিডিএমকে পাঠাবে টেকনিক্যাল কমিটি। এতে করে এই মৌসুমে আর ম্যাচ মিস হচ্ছে না হৃদয়ের।
শুক্রবার সকাল থেকেই ক্রিকেটারদের নিয়ে লম্বা আলোচনার পর তামিম ইকবাল বলেছেন, “একজন ক্রিকেটারকে একবার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিসিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার সাজা কমিয়ে এক ম্যাচ করা হয়। সে ওই ম্যাচ সাজা ভোগ করেছে। এরপর আবার কেন তার সাজা বাড়ানো হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। বারবার কেন একজন ক্রিকেটার সাজা ভোগ করবেন। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি এবং বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছে এ ব্যাপারটি জানিয়েছি। প্রেসিডেন্ট এবং টেকনিক্যাল কমিটি থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
আম্পায়ারের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করায় তাওহিদ হৃদয়কে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। পরে আম্পায়ার্স কমিটির সিদ্ধান্তে বিসিবির বাইলজ ভেঙে তা এক ম্যাচে নামানো হয়। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনায় তা আবার দুই ম্যাচ করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছিল বিসিবি। কিন্তু নতুন খবর অনুযায়ী হৃদয়ের শাস্তি আগামী বছরে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসছে।