Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

ভ্যাপসা গরম থাকবে আরও কয়েকদিন

ঢাকাসহ দেশের ২১টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ঢাকাসহ দেশের ২১টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

গ্রীষ্মের বিদায়ের ক্ষণ ঘনিয়ে এসেছে। আর মাত্র দুদিন পর শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে বর্ষাকাল। তবে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমনী বার্তা টের পাওয়া যাচ্ছে না। বরং প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে অস্থির সবাই। কারণ ঢাকাসহ দেশের ২১টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। বাতাসে বেড়েছে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ।  

এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর কোনও সুখবর দেয়নি। বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও ভ্যাপসা গরম থেকে এখনই মুক্তি মিলছে না। আরও কয়েক দিন থাকবে এমন গরম।

এবছর গ্রীষ্মের প্রায় পুরো সময়জুড়ে ছিল দাবদাহের দাপট। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেশের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী বয়ে গেলেও আবহাওয়া উষ্ণই ছিল।

২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলে আঘাত হেনে গরমের তীব্রতা দিন দুয়েকের জন্য কমায়। তবে এরপর থেকে আবারও তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।

গত ৩ জুন সারাদেশে মৌসুমি বায়ুর বিস্তার ঘটলেও দাবদাহ কমেনি। উল্টো ২১টি জেলায় তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে।

এসময় ২১টির বাইরে অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা সামান্য কম থাকলেও ভ্যাপসা গরম থেকেই যায়। শরীর থেকে ঘাম ঝরছে প্রচুর। বৃষ্টি না হওয়াতে এই অস্বস্তি ভাব আরও বাড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে মাত্র ৭টি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ মিলিমিটার। বাকি ৫৭টি জেলার বৃষ্টির হিসাবের খাতা ছিল পুরোপুরি শূন্য।

এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

ভ্যাপসা গরমের কারণ  

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ৩ জুন থেকে সিলেট অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত কয়েকদিন ধরে ময়মনসিংহ অঞ্চলেও বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চিত্র পুরোপুরি উল্টো। গরম এবং জলীয় বাষ্প দুই-ই যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “জুনের প্রথম দিকে মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করে। কিন্তু এর পরপরই রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব বাড়ে। এই দুই বায়ুর টানাপোড়েনে বৃষ্টিপাত কমে গরম বাড়ছে।

“আর বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি এবং বাতাসের গতি কম থাকায় মানুষের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরাচ্ছে। ঘাম যত বেশি ঝরবে, অস্বস্তি ততই বাড়বে।”

সিলেটসহ উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির কারণ সম্পর্কে ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পুবালি বাতাসের সংমিশ্রণে সৃষ্ট মেঘমালা সিলেট আর ময়মনসিংহের পাহাড়ে বাধা পেয়ে সেখানে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে। শনিবার থেকে উত্তরাঞ্চলসহ টাঙ্গাইল ও আশপাশের অঞ্চলে বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে। সিলেট অঞ্চলে এসময় টানা বৃষ্টি হতে পারে।”       

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত