পেপ গার্দিওলা। অনেকের বিচারে বিশ্বের সেরা কোচ। সাফল্য-শিরোপা সংখ্যা সে কথাই বলে। বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন ও জমজমাট লিগ- প্রিমিয়ার লিগের টানা চারটি শিরোপা ম্যানচেস্টার সিটি জিতেছে তার কোচিংয়ে। ইংলিশ ক্লাবটির ইতিহাস পাল্টে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এবারের মৌসুমে ওই ম্যান সিটিকে নিয়েই কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় কাটাচ্ছেন কাতালান কোচ।
সবশেষ ম্যানচেস্টার ডার্বি ২-১ গোলে হেরেছেন গার্দিওলা। ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে এই হারে গার্দিওলা বুঝে গিয়েছেন, তাকে দিয়ে আর হচ্ছে না। দুর্দশাময় পরিস্থিতি থেকে উঠে দাঁড়ানো সমাধান খুঁজছেন তিনি।
যে ম্যান সিটির সামনে প্রতিপক্ষরা নাস্তানাবুদ হয়েছে, সেই তারাই খেলছে গার্দিওলার দলকে নিয়ে। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১১ ম্যাচের আটটিতে হেরেছে সিটিজেনরা। এর মধ্যে জয় মাত্র একটিতে। প্রিমিয়ার লিগের টানা পঞ্চম শিরোপা জেতার যে মিশন নিয়ে মৌসুম শুরু করেছিল, মাঝপথে যাওয়ার আগেই একরকম ছিটকে গেছে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি।
ডার্বি হারের পর ম্যান সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফডেন তার দলের রক্ষণকে উল্লেখ করেছেন ‘যুব দল’-এর সঙ্গে। দলটির আরেক মিডফিল্ডার বের্নার্ন্দো সিলভার কাছে তার দলকে “অনূর্ধ্ব-১৫ দলের মতো লেগেছে।”
দলের ভালো পারফরম্যান্সে যেমন প্রশংসা কুড়ান কোচ, খারাপ হলেও ব্যর্থতা তার কাঁধে বর্তায়। গার্দিওলাও সব দায় কাঁধে তুলে নিচ্ছেন। নিজের ওপর তার সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সাবেক বার্সেলোনা কোচ বলেছেন, “আমি বস। আমিই ম্যানেজার। আমি যথেষ্ট ভালো (কোচ) নই। আমাকে সমাধান বের করতে হবে, এটা হলো সহজ কথা। একই সঙ্গে এটাও সত্যি আমি ভালো করছি না।”
খেলোয়াড়দের দোষ দেখছেন না গার্দিওলা, “যেটা বললাম ব্যাপারটা সেটাই। এছাড়া আমি কী বলতে পারি? আমরা এই খেলোয়াড় কিংবা ওই খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারি না। এটা একটা মৌসুম, খুব কঠিন মৌসুম। আমি সমাধান খুঁজছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। আসলে হচ্ছে না।”