ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে চীনে পড়াশুনায় ব্যস্ত জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। কিন্তু আঁখির জায়গায় জাতীয় দলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আফঈদা খন্দকার এরই মধ্যে নজর কেড়েছেন নতুন কোচ পিটার বাটলারের। নারী সাফে প্রথমবার খেলতে এসে ভারতের বিপক্ষে গোল পেয়েছেন। এবার বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে চান সাতক্ষীরা থেকে উঠে আসা ফুটবলার। দলের বর্তমান অবস্থা, ফাইনাল ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললেন কাঠমান্ডুর দি সোলটি হোটেলের লবিতে
সকাল সন্ধ্যা : বাংলাদেশ আবারও সাফের ফাইনালে নেপালকে পেল। কি ভাবছেন?
আফঈদা খন্দকার : এখানে সব দলই মোটামুটি ভালোই খেলছে। ভুটানও উন্নতি করেছে। পাকিস্তানও। এরপর আমরা যাদের সঙ্গে খেলেছি, ভারতও অনেক শক্তিশালী। এখনও নেপালের সঙ্গে খেলিনি। ওদের সঙ্গে ফাইনাল। আশা করছি ওদের সঙ্গেও ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে । এবং আমরা সেভাবেই খেলব।
সকাল সন্ধ্যা : নেপাল স্বাগতিক হিসেবে খেলবে। তাছাড়া এই দলে রয়েছে সাবিত্রা ভান্ডারির মত স্ট্রাইকার। নিশ্চয় বেশি চাপে থাকবেন আপনারা?
আফঈদা : আমরা মাঠে বসে ভারত-নেপাল ম্যাচ দেখেছি। ওদের খেলা দেখে বোঝার চেষ্টা করেছি। এবং যেভাবে নেপালের সঙ্গে আগে খেলে এসেছি সেভাবেই খেলব। এর আগেও নেপালের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছি। বাংলাদেশে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছি। এরপর এশিয়ান গেমসে খেলেছি। সাবিত্রা ভান্ডারি ওই সময়ও নেপালের দলে খেলেছেন। যেভাবে ওই ম্যাচগুলো খেলেছি সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। উত্তেজনা থাকবে মাঠের মধ্যে। দর্শক থাকবে প্রচুর। তাই বলে আমাদের মাথা গরম করা যাবে না। ঠান্ডা মাথায় খেলতে হবে।
সকাল সন্ধ্যা : নেপালের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৭ গোল) রেখা পাওডেল ভারতের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেছেন। এটা বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের জন্য স্বস্তি কিনা?
আফঈদা : একটু হলেও স্বস্তির জায়গা। কারণ দুজন যদি অ্যাটাকিংয়ে থাকতো তাহলে আমাদের ওপর বেশি প্রেসার পড়তো। ওদের নাম্বার নাইন আছে (সাবিত্রা)। এখন যদি রেখাও থাকতো তাহলে আমাদের বেশি ঝামেলা হয়ে যেত। এদিক দিয়ে স্বস্তিতে আছি।
সকাল সন্ধ্যা : নেপালের গ্যালারি তো উপচে পড়বে ফাইনালে..
আফঈদা : আমরা মনে করব নেপালের সাপোর্টারও আমাদের সাপোর্টার। চাপ নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। গত বার আপুরা ইতিহাস রচনা করেছে এবার আমাদের সেটা ধরে রাখার পালা। আমরা অবশ্যই আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করব। ভালো খেলে দেশবাসীকে আনন্দ দেব। দেশবাসীর কাছে প্রার্থনা থাকবে তারা সব সময় যেন আমাদের দোয়া করে। তাহলেই আমরা ইনশাল্লাহ ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশে ফিরতে পারব।