পাঁচ সেশনও খেলা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের নিউল্যান্ডস টেস্টে। কেপ টাউনের এই ভেন্যুর উইকেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল তখনই। শাস্তিও ছিল অনুমিত। সেটিই আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল আইসিসি। কেপ টাউনের পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ উল্লেখ করে ডিমেরিট পয়েন্টের শাস্তি দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করবে না ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। কারণ তারা নিজেরাও মেনে নিয়েছে, কেপ টাউনের পিচ খেলার ‘উপযোগী’ ছিল না।
দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের কেপ টাউন টেস্টে খেলা হয়েছে ৬৪২ বল। গড়েছে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত টেস্ট ম্যাচের রেকর্ড। ভারতের ৭ উইকেটে জেতার এই টেস্টের পুরোটা জুড়ে ছিল পেস বোলারদের দাপট। ম্যাচের শুরু থেকে পেসাররা সুবিধা পেয়েছেন; নতুন কিংবা পুরনো বল- দুই সময়েই অপ্রত্যাশিত বাউন্স পেয়েছেন তারা। পেসারদের দাপট এত ছিল যে, কোনও দলকে স্পিনার আনতেই হয়নি।
History was created in Cape Town 🏏
— ICC (@ICC) January 5, 2024
More on #SAvIND ➡️ https://t.co/2juF4qgC6D#WTC25 pic.twitter.com/78VfVQkWeO
দুই অধিনায়ক ডিন এলগার ও রোহিত শর্মার সঙ্গে আলোচনার পর আইসিসি রেফারি ক্রিস ব্রড দক্ষিণ আফ্রিকার এই পিচকে ‘সন্তোষজনক’ উল্লেখ করেছেন। আইসিসির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে ব্রড বলেছেন, “নিউল্যান্ডসের পিচে ব্যাট করা ছিল ভীষণ কঠিন। বল খুব বাউন্স করছিল, যাতে শটস খেলা কঠিন হয়ে উঠেছিল।”
আন্তর্জাতিক ম্যাচে পিচ ও আউটফিন্ডে নজরদারি করে থাকে আইসিসি। পিচ কিংবা আউটফিল্ডের অবস্থা বিবেচনায় রেট করা হয়- খুব ভালো, সন্তোষজনক, অন্তোষজনক ও আনফিট হিসেবে। ‘অসন্তোষজনক’ রেটিং পেলে শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয় একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। আর ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় ‘আনফিট’ রেটিং পেলে।
পাঁচ বছর স্থায়ী থাকে ডিমেরিট পয়েন্টগুলো। এই সময়কালে যদি কোনও ভেন্যু ৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, তাহলে এক বছর নিষিদ্ধ হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। ডিমেরিট পয়েন্টের সংখ্যা ১২-তে পৌঁছালে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা।