কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিযে তিনি উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।
সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ২০১৭ সালে হওয়া গণহত্যাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। এরপর ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ অন্যান্য ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে করিম এ এ খান বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর হওয়া গণহত্যার বিচারের বিষয়টি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং তাতে অনেক বিষয় জড়িত। আইসিসি নিরলসভাবে কাজ করছে, এ নিয়ে মামলার অগ্রগতিও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এর আগে সোমবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান প্রধান কৌঁসুলি করিম। ওইদিন দুপুরে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজারে যান।
কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করছে আইসিসি। তদন্তের কাজে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি।
এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন করিম খান।
কক্সবাজার সফর শেষে ঢাকায় ফিরে করিম খান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকারবিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে নির্দিষ্ট সময়সীমাভিত্তিক পরিকল্পনা করতে ২০২৫ সালে সব অংশীজনদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কনফারেন্স করতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজ্যুলেশন নেওয়া হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই কনফারেন্স আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।