আইসিসির বর্ষসেরা ছেলেদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে নেই বাংলাদেশের কেউ। তবে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে মেয়েদের ওয়ানডে দলে সুযোগ পেলেন নাহিদা আক্তার। এর আগে বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাস সেরা পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি।
গত বছর ওয়ানডেতে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন এই স্পিনার, যা ছিল গত বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নাহিদার। সেই সিরিজে ঘূর্ণি মায়াজালে নেন ৭ উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটা টাই হয়েছিল। এরপর সুপার ওভারে বল করে জয় এনে দেন নাহিদাই।
সুপার ওভারে ৫ বল করে ২ উইকেট নিয়েছিলেন নাহিদা। খরচ করেছিলেন কেবল ৭ রান। প্রথম ম্যাচে হারের পর এই জয়েই সিরিজে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। মিরপুরে তৃতীয় ওয়ানেডেতে নাহিদা নিয়েছিলেন ৩ উইকেট, বাংলাদেশ সিরিজ জিতে ২-১’এ।
ভারতের বিপক্ষেও দেশের মাটিতে অসাধারণ বোলিং করেছিলেন নাহিদা। ১৫ গড়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
আইসিসির বর্ষসেরা এই দলের অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামিরা আতাপাত্তু। দলে অস্ট্রেলিয়ার রয়েছেন সর্বোচ্চ ৫ জন। তবে সুযোগ পাননি ভারতের কেউ।
এদিকে ছেলেদের বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ ৬ জন। অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার রয়েছেন কেবল দুজন। বাংলাদেশের কেউ নেই এই দলে।
মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে দল
ফোব লিচফিল্ড (অস্ট্রেলিয়া), চামিরা আতাপাত্তু (অধিনায়ক, শ্রীলঙ্কা), এলিস প্যারি (অস্ট্রেলিয়া), অ্যামেলিয়া কের (নিউজিল্যান্ড), বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া), নেট সিভার-ব্রান্ট (ইংল্যান্ড), অ্যাশ গার্ডনার (অস্ট্রেলিয়া), অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া), নাদিন ডি ক্লার্ক (দক্ষিণ আফ্রিকা), লি তাহুহু (নিউজিল্যান্ড) ও নাহিদা আক্তার (বাংলাদেশ)।
ছেলেদের বর্ষসেরা ওয়ানডে দল
রোহিত শর্মা (ভারত, অধিনায়ক), শুভমান গিল (ভারত), ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া), বিরাট কোহলি (ভারত), ড্যারিল মিচেল (নিউজিল্যান্ড), হাইনরিখ ক্লাসেন (দ.আফ্রিকা), মার্কো ইয়ানসেন (দ.আফ্রিকা), অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া), কুলদীপ যাদব (ভারত), মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত) ও মোহাম্মদ সামি (ভারত)।
