Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রাম চাইলে বাংলা বিহার ওড়িশা ফেরত দিতে হবে : রিজভী

পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশের মানুষ দিল্লি ‘আগ্রাসন প্রতিরোধ প্রস্তুত’ আছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারত চট্টগ্রাম দাবি করলে বাংলা বিহার উড়িষ্যা ফেরত দিতে হবে। ফাঁপা আওয়াজ দিলে হবে না।

রবিবার ঢাকার নয়াপল্টনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরুর আগে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনাকে (ক্ষমতায়) ফেরাতে ভারত যা করছে তা আগ্রাসন। এমন নজির পৃথিবীতে আর নেই। দিল্লি থেকে কলকাতা পর্যন্ত মিথ্যা অপপ্রচার করে বিশ্বব্যাপী বিভ্রান্তী চালানোর চেষ্টা করছে ভারত।”

পার্শ্ববর্তীদেশ প্রতি মুহূর্তে নাশকতার চেষ্টা করছে– এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ভারত বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়াসহ বিদ্যমান পরিস্থিতি আরও খারাপ করার চেষ্টা করছে। এর ফল ভারতের জন্য ভালো আসবে না। দেশের ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্যবাদ প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছে।”

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে রবিবার পদযাত্রা করে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি দেয় বিএনপির তিন সংগঠন।

এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “আমাদের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। সুশৃঙ্খলভাবে আমরা এই পদযাত্রা করব। ভারত নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা শান্তির পক্ষে।”

ভারতের সঙ্গে কেউ বন্ধুত্ব করতে পারে না– এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ভারতের মন ভালো নেই। কারণ তাদের সঙ্গে ভুটান নেই, নেপাল নেই। কেউ তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারে না। এখন বাংলাদেশকে নিয়েও তারা ষড়যন্ত্র করছে।”

ভারত ভিসা না দেওয়ায় বাংলাদেশেরই লাভ হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “ভিসা বন্ধ করে তো আমাদের উপকারই করেছে ভারত। ডলার পাচার হবে না। অনেক টাকা চলে যেত ভারতে যেতে আসতে। এখন টাকাও যাবে না।

“আর ভোগ্যপণ্য না দিলে দেশের মানুষ বেশি পরিশ্রম করে ফসল উৎপন্ন করবে। আমাদের রিজার্ভ বাড়বে। এতে আমাদের লাভই হলো।”

ভারতের লোকজন বাংলাদেশের ইলিশের জন্য তাকিয়ে থাকে– এমন ইঙ্গিত দিয়ে রিজভী বলেন, “আমাদের সুস্বাদু ইলিশের জন্য সবাই তাকিয়ে থাকে। ইলিশ নেন কেন? আসলে ভারত সবসময় বিদ্বেষ ছড়ায়। এরা বাংলাদেশকে সহ্য করতে পারে না।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে মিথ্যা কলঙ্ক দিয়ে সম্প্রীতি ভাতৃত্ববোধকে ম্লান করতে পারবে না ভারত। অন্যায় অবিচারমূলক প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগুন জ্বলছে। কলকাতার হাসপাতালগুলো বন্ধ। সেখানো কোনও রোগী নাই। ভারতের ৪০ শতাংশ সেনিটাইজেশনও নাই। কিসের বড়াই করে ভারত?”

পরে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে বিএনপির তিন সংগঠন– যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

পদযাত্রায় নেতাকর্মীদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাঁড়াও জনগণ’, ‘এক জাতি এক দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘ওয়াসিম-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনও আপস নয়’, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নয়’, ‘সবার উপরে দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরসহ নেতাকর্মীদের পদযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত