Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

রোহিঙ্গাদের ফেরানো না গেলে অস্থিরতা তৈরি হবে, আশঙ্কা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

সকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
সকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে করা কিছু আশঙ্কা সত্যি হওয়ার আলামত দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, “মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত এসব রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম, এদের দ্রুত সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো না গেলে এখানে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের হাব তৈরি হতে পারে, অস্ত্রের ঝনঝনানি হতে পারে। এই হতে পারার মধ্যে কিছু কিছু আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি।”

শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৯ নম্বর ঘোনার পাড়া ক্যাম্প পরিদর্শনের পর সেখানকার এপিবিএন কার্যালয়ে যান এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যারা যুদ্ধ করছে তাদের কয়েকজনের আনাগোনা এখানে দেখা যাচ্ছে।

“সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশ কোনও মাদক উৎপাদন করে না। কিন্তু অনেক আগে থেকেই মিয়ানমারের মাদক এদেশে আসে। এখন ক্যাম্পের কিছু লোকও মাদকের ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে অস্ত্র ও খুনে জড়িতদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়াই আমাদের মূল কাজ।”

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের কথা ও কাজে মিল নেই। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বাংলাদেশও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো, মিয়ানমার একটি অস্থিরশীল দেশ। সেখানে যুদ্ধ লেগেই আছে। বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো নিয়ে নানা চুক্তি বা সমঝোতায় স্বাক্ষর হলেও তা মিয়ানমারের কারণে অগ্রগতি হয়নি।

তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে, এমন প্রত্যাশাও করেন মন্ত্রী।

পরে টেকনাফে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেখানে বিজিবির সঙ্গে বৈঠক করেন।

এসময় তার সঙ্গ ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, এপিবিএন প্রধান সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, ৮-এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর, ১৪-এপিবিএনের অধিনায়ক মো. ইকবাল, ১৬- এপিবিএনের অধিনায়ক হাসান বারীসহ অন্যরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত