দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নাশকতার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তবে নাশকতার সেই পরিকল্পনার কথা পুলিশ জেনে যাওয়ায় তা প্রতিহত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, “নির্বাচনের দিন তারা বিকট শব্দে কোনও কিছুর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল। তাদের তথ্য আমরা পেয়েছি এবং প্রস্তুতিও নিয়েছি। আমি আশা করি কেউ এ ধরনের ভীতির সঞ্চার করতে পারবে না।”
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, “আমরা সারাদেশে ৪২ হাজার ২৫টি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দেব। ভোটকে কেন্দ্র করে নাশকতার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার থেকেই প্রতিটি কেন্দ্র নিরাপত্তার আওতায় এসেছে জানিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “গত নির্বাচনগুলোয় ভার্চুয়াল গুজব ছড়ানো হয়েছিল। এবার তা প্রতিহতে পুলিশের সাইবার ইউনিট কাজ করছে। সব কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো একযোগে কাজ করছি।
“নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কেউ নাশকতা করতে পারবে না। চোরাগোপ্তা হামলা দু’একটা জায়গা করতে পারে। তবে পুলিশ সতর্ক থাকবে।”
৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি।