মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জুবায়ের। মোনাজাতে অংশ নিতে রবিবার টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার ময়দান ঘিরে মানুষের ঢল নামে।
সকাল ৯টায় ইজতেমার মূল মঞ্চ থেকে দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের। মোনাজাত চলে একটানা ২৩ মিনিট। এ সময় লাখো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান। মোনাজাত শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ছোটেন মুসল্লিরা।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রবিবার ভোর থেকেই টঙ্গীর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দান ঘিরে জড়ো হতে থাকেন। ইজতেমা ময়দানে যেতে না পেরে অনেকে পথেই খবরের কাগজ, পলিথিন বা সঙ্গে আনা পাটি ও জায়নামাজ বিছিয়ে বসে পড়েন।
আখেরি মোনাজাত ঘিরে ইজতেমার মাঠকে কেন্দ্র করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কের তিন-চার কিলোমিটার পরিণত হয় জনসমুদ্রে। তুরাগ নদের পাড় দিয়ে বহু নৌকা ভিড়িয়ে মোনাজাতের অপেক্ষায় ছিলেন জলপথে আসা মুসল্লিরা। ভরে গিয়েছিল আশপাশের দোকান, কারখানা, অফিস ও ঘরবাড়ির ছাদ। ভিড় ঠেলে অনেক নারীও আসেন টঙ্গী এলাকায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে।
আখেরি মোনাজাতের জন্য টঙ্গীর আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ অনেক অফিসে রবিবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার সকালে বাদ ফজর ইজতেমার ময়দানে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। বাংলায় তা তরজমা করেন মাওলানা নুরুর রহমান। পরে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তরজমা করেন মাওলানা জুবায়ের।
মোনাজাত শেষে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা ও তাবলিগি সফরে বের হওয়া মুসল্লিদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে টঙ্গী জাংশনে রাখা হয় বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা। মধ্যরাত থেকে মোনাজাত শেষ হওয়া পর্যন্ত ইজতেমার পার্শ্ববর্তী ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়।
ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বি দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্দলভির অনুসারীদের তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে যা শেষ হবে আগামী রোববার।