Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ইমো হ্যাক করে অর্থ আত্মসাৎ, দুজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

ss-rajshahi-cyber-tribunal-11062024
[publishpress_authors_box]

মেসেজিং অ্যাপ ইমো হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় দুই তরুণের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাজশাহীর একটি আদালত।

দণ্ড পাওয়া দুজন হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের হৃদয় আলী (২১) ও নাটোরের লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৫)।

মঙ্গলবার রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা। তিনি জানান, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ঢাকার সবুজবাগের আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি এ মামলার বাদী। ২০২৩ সালের ২ মার্চ নাটোরের লালপুর থানায় তিনি মামলাটি করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার বোনের স্বামী জাকির হোসেন সৌদিপ্রবাসী। জাকির তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে ইমোতে যোগাযোগ করতেন। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা জাকির হোসেনের ইমো নম্বর হ্যাক করে ফাতেমাকে ‘বিপদের’ কথা জানায়। এরপর ফাতেমার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়া হয়েছে, তা রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় নিবন্ধিত। বিষয়টি তিনি র‌্যাবকে জানালে র‌্যাব এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে। পরে পাঁচজনকে র‌্যাব আটক করলে মালেক বাদী হয়ে মামলা করেন।

সেই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মঙ্গলবার রায় দিয়েছে।

আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আসামিদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

আরেক ধারায়ও দুজনকে একই সাজা দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ দুটি ধারায় মোট ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একটি ধারার সাজা শেষ হওয়ার পর অন্যটি কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান ইসমত আরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত