পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট হচ্ছে বৃহস্পতিবার। কয়েকটি মামলার সাজা মাথায় নিয়ে কারাগারে বন্দি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নেই ভোটের মাঠে। তবে ভোটের মাঠে না থাকলেও নিজের ভোট ঠিকই দিয়েছেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান।
সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, কারাগারে বসেই ভোট দিয়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগার থেকে বুধবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেন তিনি।
তবে ইমরান খান ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলেও তার স্ত্রী বুশরা বিবি দিতে পারেননি ভোট। কারণ তিনি ইসলামাবাদে ইমরান খানের বাসভবন বানি গালা-তে বন্দি অবস্থায় আছেন। তিনি দোষী সাব্যস্ত ও গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই সেখানে পোস্টাল ভোটিংয়ের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়।
এদিকে পাকিস্তানে কারাবন্দি অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছেন। ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান ছাড়াও কারাবন্দি থাকা দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ ইলাহি, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রধান শেখ রাশিদ ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ই-মেইলের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানসহ সাত হাজার কয়েদি রয়েছে। তাদের মধ্যে এবার ১০০ জনেরও কম কয়েদি ভোট দিতে পেরেছেন, যা কারাগারটির মোট কয়েদিদের মাত্র এক শতাংশ।
ডন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কারাগার প্রশাসন শুধু ওই কয়েদিদেরই ভোট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে, যাদের বৈধ কম্পিউটারাইজড জাতীয় পরিচয়পত্র (সিএনআইসি) আছে। বেশিরভাগ কয়েদির আসল সিএনআইসি না থাকায় পোস্টাল ব্যালটে কয়েদিদের ভোট দেওয়ার সংখ্যা কমেছে।