আগামী মাসে ৪৫ বছরে পা রাখবেন ইমরান তাহির। অথচ এখনও একজন তরুণের মতো খেলছেন। বল করছেন। ৫ উইকেটও নিচ্ছেন। ক্যারিয়ারে মোট ৬১টি দলের হয়ে খেলা এই পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত দক্ষিণ আফ্রিকার লেগি জানালেন থামার ইচ্ছা সহসা নেই। ৫০ বছরে খেলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে চান।
মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন ইমরান। ওভারঅল টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেট নেয়া চতুর্থ বোলার হয়েছেন। ৬২৪ উইকেট নিয়ে ডুয়াইন ব্রাভো শীর্ষে, ৫৫৬ উইকেটে রশিদ খান দ্বিতীয় ও ৫৩২ উইকেটে সুনিল নারাইন আছেন তিনে। চারে থাকা ইমরানের এখন ৫০২ উইকেট।
এই লেগীর ৫ উইকেটে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭৮ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। খুলনাকে ২২০ রানের টার্গেট দিয়ে মাত্র ১৪১ রানে বেঁধে ফেলেছে তারা।
ক্যারিয়ারের এই বয়সেও মাইলফলক ছুঁয়ে যাচ্ছেন তাহির। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের ক্রিকেট উপভোগের বিষয়টি তিনি তুলে ধরলেন এভাবে, “বয়স কোন বাধা নয়। এটা বলতে চাইনি কিন্তু দেখুন আজকেও আমি ভাঙ্গা আঙুল নিয়ে খেলেছি। এটা প্রমাণ করে যে এই খেলাটির প্রতি আমি কতটা সমীহ রাখি।”
“কারণ আমি ২০-২২ বছরে এই সুযোগগুলো পাইনি। সুযোগটা পেয়েছি ৩২ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাটা আমার স্বপ্ন। যা দেরিতে পূর্ণ হয়েছে, এখন এই স্বপ্ন থেকে আমি জেগে উঠতে চাই না (অবসর নেয়া বুঝিয়ে)।”
৫০ বছর বয়সে খেলে রেকর্ড গড়ার বিষয়টি অবশ্য ঠাট্টার ছলেই বলেছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান, “আমি প্রতিটা সুযোগে চেষ্টার চেয়েও বেশি করতে কিছু করতে চাই। বয়স ৪৫, ৪৭ যাই হোক না কেন যতদিন আমি দলকে কিছু দিয়ে যেতে পারব, ক্রিকেট উপভোগ করতে পারব ততদিন খেলে যাব। হতে পারে সেটা ৫০ বছর বয়সে খেলে বিশ্বরেকর্ড গড়ার মতো কীর্তি এবং হতে পারে তখনও আমি রংপুরের হয়ে খেলতে পারি (হাসি)।”
উইকেট নেয়ার পর ইমরান তাহিরের উদযাপন অলাদা রকমের। এর পেছনের কারণ অবশ্য বিশেষ কিছু নেই। এই স্পিনার জানিয়েছেন, “এটা শুদ্ধ প্যাসন। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা থেকে এটা আসে। উইকেট পাওয়ার পর আমার কি হয় জানি না, আমি এভাবে আনন্দ প্রকাশ করতে ভালোবাসি।”
তবে ইদানিং দৌড়ে গিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো উদযাপন করা যোগ করেছেন। আর তা ছেলের জন্য, “রোনালদোর উদযাপনটা আমার ছেলের জন্য ছিল, কারণ সে রোনালদোর অনেক বড় ভক্ত এবং আমাকে সবসময় ওর মতো উদযাপন করতে বলে। তো করে যাচ্ছি, একবার ওভাবে উদযাপন করিনি বলে সে মন খারাপ করেছিল। আমাকে তো বাড়ি যেতেই হবে ওকে যেন এই উদযাপন করে খুশি রাখতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আমি আমার ছেলেকে খুশি দেখতে চাই।”