এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের সব নজর ছিল ইমরানুর রহমানের দিকে। গত বছর কাজাখস্তানে এশিয়ান ইনডোরে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন।
স্বাভাবিকভাবে এবারও তাকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছিলেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। কিন্তু সবার আশার গুড়ে এবার বালি ঢেলে দিয়েছেন ইমরান। সোনার পদক দূরে থাক ব্রোঞ্জও জিততে পারেননি বাংলাদেশের দ্রুততম মানব। অথচ ইমরানের হতাশার দিনে হাই জাম্পে ব্রোঞ্জ জিতেছেন মাহফুজুর রহমান।
তেহরানে চলমান এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে রবিবার ৪০০ মিটারে রুপা জেতেন জহির রায়হান। এরপর সোমবার মাহফুজ ২.১৫ মিটার লাফিয়ে জিতলেন ব্রোঞ্জ পদক।
ইমরান ৬০ মিটার স্প্রিন্টে চতুর্থ হয়ে দৌড় শেষ করেন। তিনি দৌড়ে সময় নিয়েছেন ৬.৬৭ সেকেন্ড।
আট ফাইনালিস্ট তিনটি পদকের জন্য দৌড়েছিলেন। ইমরান ৪ নম্বর লেনে শুরুতে খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও কয়েক মিটার পর সেটা কাভার করেছিলেন। তবে শেষ ১৫ মিটারে তিনি বেশ পিছিয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত হন চতুর্থ।
ইমরান ৬০ মিটার স্প্রিন্টের হিটে করেন ৬.৬২ সেকেন্ড টাইমিং। সেমিফাইনালে টাইমিং কমিয়ে ৬.৬০ করেছিলেন। কিন্তু ফাইনালে আরও বেশি সময় নিলেন, দৌড়েছেন ৬.৬৭ সেকেন্ডে। অথচ গত আসরে তিনি ৬.৫৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছিলেন।
এবার তেহরানে সোনা জিতেছেন ওমানের আলী আনওয়ার। তার টাইমিং ৬.৫২ সেকেন্ড। জাপানের সুহিই ও উত্তর কোরিয়ার জো ইয়ম ৬.৫৬ ও ৬.৬৬ সেকেন্ড দৌড়ে রুপা ও ব্রোঞ্জ জেতেন।
দৌড় শেষে হতাশার কথা জানিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে ইমরান লিখেছেন, “প্রস্তুতিটা ভালো হয়নি এবার। কিন্তু আমার সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করেছি। যদি হতাশ করে থাকি আপনাদের, তাহলে দুঃখিত। সব সময় আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ইনশাল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।”
বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা সীমিত সুযোগ সুবিধার মধ্যে থেকেও এশিয়ান ইনডোরে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। অথচ লন্ডন প্রবাসী ইমরানুরের পেছনে কাড়ি কাড়ি টাকা লগ্নি করেও কোনও সাফল্য পেল না ফেডারেশন। এবার সম্ভবত দেশী অ্যাথলেটদের দিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে।