বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ এখনও শেষ হয়নি। তবে স্টেডিয়ামে বসানো হয়েছে নতুন অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক। সেই সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন পেয়েছে নতুন ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড।
এই স্টেডিয়ামে শুক্রবার শুরু হয়েছে ৪৭তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা।
প্রায় ৩৭ মাস পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরল দেশের ঘরোয়া অ্যাথলেটিকসের সবচেয়ে বড় আসর। নতুন এই অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে প্রথমবার দৌড়ে দেশের দ্রুততম মানব হয়েছেন লন্ডন প্রবাসী স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান। ইলেকট্রনিকস স্কোরবোর্ডে তিনি সময় নেন ১০.৩৬ সেকেন্ড।
সামার ও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে এ দিয়ে টানা ৪ বার দ্রুততম মানব হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইমরানুর।
দ্রুততম মানবীর শ্রেষ্ঠত্ব বরাবরের মতোই ধরে রেখেছেন শিরিন আক্তার। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে এবারও সোনা জিতলেন নৌ বাহিনীর অ্যাথলেট। তিনি সময় নেন ১২.১১ সেকেন্ড।
ইমরানুরের ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং অবশ্য হয়নি এবার। গত বছর ব্যাংককে এশিয়ান অ্যাথলেটিকসে ১০.২৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে উঠে যান সেমিফাইনালে।
শিরিনের বিকল্প যেন আজও তৈরি করতে পারল না বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৫ বার দ্রুততম মানবী। শুধু মাঝে ২০২২ সালে একবার সুমাইয়া দেওয়ানের কাছে মুকুট হারিয়েছিলেন। তার ওপরে আছেন নাজমুন নাহার বিউটি। ঘরোয়া আসরে সবচেয়ে বেশি ১৭বার দ্রুততম মানবী হয়েছেন নোয়াখালীর অ্যাথলেট।
বর্তমানে শিরিন পড়াশুনা করছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেন আপন মনেই অনুশীলন করে যান। ফিটনেস নিয়েও ভীষণ সচেতন। আর কতদিন খেলে যেতে চান? প্রশ্নটা করতেই শিরিন হাসিমাখা মুখে বললেন, “এখনই থামার কথা ভাবছি না। যতদিন পারি দৌড়াবো।”
তেহরানে আগামী ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি হবে এশিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইমরানুর যেন ইরানে যাওয়ার আগে একটা মহড়াই করে নিলেন। যদিও নিজের টাইমিং নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্ট নন, ‘আমি আরও ভালো করতে চাই। এটা সিজনের প্রথম দৌড়। তবে টাইমিং নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট। এখনও পিকে উঠতে আরও কিছু সময় লাগবে।”