মাশরাফি বিন মর্তুজা ক্রিকেটের বাইরে অনেক দিন। অথচ বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে তিনি রয়েছেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। কেউ কিনলে মাশরাফি পারিশ্রমিক পাবেন ৪০ লাখ টাকা। সেখানে নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েসরা আছেন ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। তাদের পারিশ্রমিক ২৫ লাখ টাকা।
এটাই মানতে পারছেন না ইমরুল কায়েস। সরাসরি মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম নেননি তিনি, তবে তাকে ইঙ্গিত করেই ফেইসবুকে দেওয়া পোস্টে ইমরুল লিখেছেন, ‘‘আসসালামু আলাইকুম। বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং দেখে চিন্তা করছি, গ্রেডিংটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছরজুড়ে ক্রিকেটের আশপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো ‘বি’ গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা ‘সি’ গ্রেডে।’’
এরপর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন ইমরুল, ‘‘তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়?’’
বিপিএল নিয়ে ইমরুল আরও লিখেছেন,‘‘ বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোন সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম।’’
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘‘তবে জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোন ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?’’