চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন দাতাসংস্থা বাংলাদেশের অনুকুলে যে পরিমাণ ঋণ সহায়তা ছাড় করেছে পরিশোধ করতে হয়েছে তার দ্বিগুণের বেশি।
বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই মাসে এডিবি, বিশ্বব্যাংক ও জাইকাসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা বাংলাদেশের অনুকুলে ছাড় করেছে ২০ কোটি ২৭ লাখ ডলার। একইমাসে পুঞ্জীভূত পাওনা থেকে দাতাদের পরিশোধ করতে হয়েছে ৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
এ হিসাবে ঋণ পাওয়ার চেয়ে পরিশোধ করতে হয়েছে ১২০ শতাংশ বেশি।
গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দাতাদের ৩৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। সে হিসাবে এ বছর জুলাই মাসে প্রায় ৯ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
ইআরডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত এক দশক বাংলাদেশ অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করেছে। এখন সেসব ঋণের সুদসহ পরিশোধ করতে হচ্ছে।ফলে এখন ঋণ দাতাদের কাছে পরিশোধের চাপও বেড়েছে। আগামীতে এই চাপ আরও বাড়তে পারে।
চলতি অর্থ বছরে দাতাদের প্রায় ৫০০ কোটি বা ৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পাওনা পরিশোধ করতে হতে পারে বলে জানান তারা। গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল।
গত জুলাই মাসে সব দাতাসংস্থা ও দাতাদেশ মিলে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ২৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার ছাড় করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বিশ্ব ব্যাংক ছাড় করেছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর একক দেশ হিসেবে জাপান ১ কোটি ৭২ লাখ ডলার ছাড় করেছে।


