নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুইপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে রবিবার রাতেও দুই পক্ষের মধ্যে একদফা সংঘর্ষ হয়েছিল।
সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন- আকবর, তাজেল, জয়নাল, শামীম, মুক্তার হোসেন, নুর হোসেন, আরিফ ও রোমান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন, ঢামেকে ভর্তি সবাই শটগানের ছররা গুলিতে আহত। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, কায়েতপাড়ায় রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমানের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দ্বন্দ্ব পুরোনো। এর জের ধরে রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে রফিকুল ইসলামের অনুসারী নাওড়ার বাসিন্দা নাজমুল নামে এক যুবককে পিটিয়ে আহত করে মোশারফের অনুসারীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ব্যবহার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি ধারালো অস্ত্র। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।
মোশারফ হোসেনের ছেলে নিরব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সকালে তাদের বাড়ি ঘেরাও করেন রফিকুল ইসলাম, তার ভাই মিজানুর রহমানসহ অনুসারীরা। এসময় জশু, রুবেল, কানা মোজাম্মেল, জাহিদ, শিপলু, সজিব, রাজিব, আলাদিনসহ শতাধিক মানুষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় নিরবের বাবা মোশরফের আট অনুসারী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিজানুর রহমান। তার দাবি, তিনি এ মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সকালের সংঘর্ষের সঙ্গে তিনি বা তার পরিচিত কেউ জড়িত ছিলেন না।
তিনি বলেন, “আমি শুনেছি, নাজমুল নামে গ্রামের একটি নিরীহ ছেলেকে গতরাতে মারধর করে টাকা-পয়সা রেখে দেয় মোশারফ ও তার লোকজন। এতে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সকালে গ্রামবাসীদের উপর আবারও মোশারফের লোকজন হামলা চালায়। হামলায় গ্রামবাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
“এর বেশি কিছু ভাই আমি জানি না, কারণ আমি তো গ্রামে ছিলামই না।”
এ ঘটনার পর নাওড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে, সে অনুযায়ী জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।