রোজার ঈদকে সামনে রেখে টিকেট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শুক্রবার ছিল টিকেট বিক্রির ষষ্ঠ দিন। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টায় অনলাইনে বিক্রি শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় ১৪ হাজার টিকেট।
এদিন ছাড়া হয়েছিল পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য নির্ধারিত টিকেট।
টিকেট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি সহজ ডট কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটেই হিটের রেকর্ড হয়েছে ওয়েবসাইটে। এসময়ের মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ বার ওয়েবসাইটে হিট করেছেন টিকেট প্রত্যাশীরা। প্রথম এক ঘণ্টায় যা বেড়ে হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ বার।
তিনি বলেন, এক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে ১৪ হাজার টিকেট।
বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়।
এছাড়া শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জন্য ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।
তবে রেলের টিকেটের চাহিদার উল্টোচিত্র বাস কাউন্টারগুলোয়। গাবতলী, কল্যানপুর, পান্থপথ, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টারগুলোয় এখনো নেই টিকেট প্রত্যাশীদের ভিড়।
আগের ঈদগুলোয় পাঁচ দিনের অগ্রীম টিকেট বিক্রি করলেও এবার প্রথমবারের মতো সাত দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে।
ঈদ উপলক্ষে আগামী ৩ এপ্রিল শুরু হবে ট্রেনের যাত্রা। ২৪ মার্চ বিক্রি হয়েছে ৩ এপ্রিলের টিকিট। ২৫ মার্চ বিক্রি হয় ৪ এপ্রিলের, ২৬ মার্চে দেওয়া হয় ৫ এপ্রিলের এবং ২৭ মার্চ দেওয়া হয় ৬ এপ্রিলের টিকিট।
এছাড়া ৩ এপ্রিল থেকে ফিরতি ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সেদিন ১৩ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে। এরপর যথাক্রমে ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে পর্যায়ক্রমে ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ এপ্রিল।
এ ছাড়া ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।