Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহ নিয়ে ইনামুল হক

‘এই তেজের শক্তিতে জাতিসংঘ সনদটি অনুমোদন করুন’

আকস্মিক বন্যায় ডুবে আছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মোহনগঞ্জ গ্রাম। ছবি : জীবন আমীর
আকস্মিক বন্যায় ডুবে আছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মোহনগঞ্জ গ্রাম। ছবি : জীবন আমীর
Picture of আইরিন সুলতানা

আইরিন সুলতানা

অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘ সনদটি অনুমোদন দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন নদী বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম ইনামুল হক।

উজানের দেশ ভারত থেকে আসা ঢলে বাংলাদেশের কুমিল্লা, ফেনীসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

এই প্রেক্ষাপটে সকাল সন্ধ্যাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সংকট এবং তা সমাধানের উপায় নিয়ে কথা বলেন জল ও পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ইনামুল হক।

এই বন্যাকে পুরোপুরি প্রাকৃতিক বলে মনে করছেন এই বিশেষজ্ঞ; এর জন্য দায়ী করেছেন তিনি অতি বৃষ্টিকে।

গোমতী নদীর ওপর ত্রিপুরায় ডাম্বুর বাঁধের পানি উপচেপড়া নিয়েও অতিকথন চলছে বলে তার মন্তব্য। বাঁধের ক্ষতি ঠেকাতে দেশে বাঁধ নির্মাণের আওয়াজও অজ্ঞানতা প্রসূত বলে তার মত।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অভিন্ন নদী রয়েছে ৫৪টি; এই নদীর জলবণ্টন নিয়ে নয়া দিল্লির সঙ্গে ঢাকার টানাপড়েন বহু দিনের। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হলেও তিস্তা চুক্তি ঝুলে আছে।

নদীর পানি বণ্টনের এই বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতকে সমালোচনার কেন্দ্র হয় প্রায় সময়। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক উপদেষ্টাও ভারতের দিকে তুলেছেন অভিযোগের তীর।

ভারতের সমালোচনা করতে গিয়ে সোশাল মিডিয়ায় অনেকে বাঁধের বিপরীতে বাঁধ দেওয়ার আলাপ যেমন তুলছেন, তেমনি জাতিংঘেও তা ওঠার দাবি তুলেছে।

এই বিষয়ে ইনামুল হক বলেন, “(জাতিসংঘের) জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে এসব কথা তোলাই যায়। লাভ হয় না। বাহবা পাওয়া যায়, তালি পাওয়া যায়, এর বেশি কিছু না।”

জল ও পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ইনামুল হক

কেন হয় না- তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “কারণ সেগুলো অন্য রাষ্ট্রের ওপর কোনও বাধ্যবাধকতা আনে না। বাধ্যবাধকতা আনে জাতিসংঘের কিছু কনভেনশন আছে, সেগুলো যদি উভয় রাষ্ট্র মেনে নেয় তাহলে। যেমন আমাদের সমুদ্রসীমা নিয়ে আমরা ভারত বা মিয়ানমারের সঙ্গে একটা ব্যবস্থা করতে পেরেছি।”

১৯৯৭ সালে প্রণীত জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশনের কথা তুলে ধরে ইনামুল বলেন, “যেটা আমরা বারবার বলছি … অনেকেই আন্দোলন করেছে… বাংলাদেশকে রেটিফাই করার জন্য, সম্মতি দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও দেয়নি, ভারতও দেয়নি।

“সে তো একটা নতজানু নীতিতে ছিল ভারতের সঙ্গে। যে তেজ আমরা এখন বর্তমান সরকারের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি, তাতে আমি বলব, এই তেজের শক্তিতে আগে এই কনভেনশনটাকে রেটিফাই করা দরকার। তখন যৌক্তিকভাবে, আইনগতভাবে জাতিসংঘ বা সারাবিশ্বের কাছে পৌঁছাতে আমাদের সুবিধা হবে।”

যৌথ নদী কমিশনের আরও সক্রিয়তা প্রত্যাশা করে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ইনামুল বলেন, “যৌথ নদী কমিশনকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে।

“তাদেরকে আমি বলব, স্নেহভাজনরাই আছে, তোমরা নিজের শক্তিতে নিজের বুদ্ধিতে দায়িত্ব নিয়ে কাজ কর। দায়িত্বশীল আচরণ কর। দেশের অনেক উপকার হবে।”

ভারতের মুহুরী নদীতে কলসি বাঁধ

এই বন্যার জন্য বাঁধের দায় কতটা

আকস্মিক এই বন্যার জন্য গোমতী নদীতে ডাম্বুর ও মহারানী বাঁধ, মুহুরী নদীতে কলসী বাঁধকে দায়ী করে সোশাল মিডিয়ায় ভারতের বেশ সমালোচনা চলছে।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গোমতীর উপর রয়েছে ডাম্বুর বাঁধ। বাংলাদেশ থেকে ১২০ কিলোমিটার উজানে। গত ২১ আগস্ট খবর ছড়িয়ে পড়ে এই বাঁধ খুলে দেওয়াতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

সে বিষয়ে ম ইনামুল হক বলেন, “ডাম্বুর ড্যাম জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। এটা গোমতী নদীর উপরে। মহারানি যে ব্যারেজ আছে, সেটা সেচের জন্য। কলসি ড্যাম, এখানেও কোনও জলবিদ্যুত নাই। এটা ছোট, ডাম্বুরের চাইতে ১০ ভাগের এক ভাগ।”

“যদি গেট খুলেও দিত, তাও বাংলাদেশে এর প্রভাব কম। হয়ত নদীর প্রবাহটা একটু বাড়ত, কিন্তু্‌ এই কারণেই এখানে বন্যা হয়েছে, তা না।”

ডাম্বুর বাঁধের সঙ্গে ত্রিপুরার ধলাই জেলায় প্রায় ৪১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আছে ডাম্বুর হ্রদ। এখানকার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে বাংলাদেশে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২২ আগস্ট এক বিবৃতিতে জানায়, বাঁধ খুলে দেওয়া হয়নি। ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বাঁধ ছাপিয়ে বেরিয়ে গেছে।

প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতার এই বাঁধ নিয়ে ইনামুল হকের পর্যবেক্ষণ, “(বাঁধের) ক্যাপাসিটিটা লেেভল দিয়ে করা, ভলিউম দিয়ে না। পানির উচ্চতা, একটা লেভেলের ওপরে উঠলে পানিটা জলপ্রপাত হয়ে নেমে যায়।       

“স্পিলওয়ে দিয়ে পানিটা নেমে যায়। অতিরিক্ত যদি বর্ষা হয়ে যায়, তখন গেটটা খুলে যায়, হড় হড় করে পানিটা বেরিয়ে আসে। না হলে ওই স্ট্রাকচারটা ক্ষতির মুখে পড়ে। ভারত বলছে, ‘আমরা গেট খুলি নাই, পানি স্পিলওয়ে দিয়ে গেছে’। হ্যাঁ, ইট ইজ পসিবল। আমাদের কাপ্তাই ড্যামেও স্পিলওয়ে আছে। তিস্তা ব্যারেজে একটা বাইপাস আছে। অতিবন্যা হলে বাইপাসটা স্পিলওয়ের কাজ করে।”

অতি বৃষ্টিই কারণ

এই বন্যার জন্য অতি বৃষ্টিকে কারণ দেখিয়ে ইনামুল হক বলেন, “এটা তো স্পষ্ট যে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা হয়েছে। ডাম্বুর বাঁধ মূল কারণ নয়।”

তিনি বলেন, “এরকম এক্সট্রিম বা চরম পরিস্থিতি যখন হয়, এটার একটা রিটার্ন পিরিয়ড থাকে। প্রকৃতিতে কখনও ১০ বছর পরপর এরকম হয়। স্ট্যাটিসটিকাল অ্যানালিসিস করে দেখা যেতে পারে ফেনীতে যে বন্যাটা হলো, এই এলাকায় এর রিটার্ন পিরিয়ড কবেকার? এর আগে কত বছর আগে হয়েছে? তাহলে আমরা এরকম ধারণা করতে পারি যে ১০০ বছরে একবার অন্তত এক্সট্রিম হতে পারে।”

এই বন্যার প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এই প্রকৌশলী বলেন, “বর্ষার শুরুতে পাহাড়ের ঢাল অঞ্চলে যখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, সেই বৃষ্টিপাতে পানি মাটির ভেতরে যাওয়ার আগেই ভেসে গ্রামাঞ্চলে ফসল ডুবিয়ে দেয় … এটা ফ্ল্যাশ ফ্লাড বলে।

“এখনকার বন্যাকে ফ্ল্যাশ ফ্লাড বলা যাবে না। ফ্ল্যাশ ফ্লাড ছোট এলাকাজুড়ে হয়। এই বন্যা একটা ব্যাপক এলাকাজুড়ে হয়েছে। এটাকে প্রলয় বলে। সামুদ্রিক প্রলয় নয়। এটাকে বলে স্থানিক প্রলয়।”

বন্যায় ত্রিপুরায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

বাঁধের বিপরীতে বাঁধ কতটা যৌক্তিক

ভারতে বাঁধ নির্মাণের সমালোচনা থেকে অনেকে নদীর বাংলাদেশ অংশে পাল্টা বাঁধ তৈরির যে কথা বলছেন, তা নিয়েও কথা বলেন ‘বাংলাদেশের নদনদী’ গ্রন্থের লেখক ইনামুল হক।

তিনি বলেন, “আমরা ড্যাম দিতে পারি। কিন্তু পাল্টা ড্যাম হয় না। ওতে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। এটা যারা বলছে, তারা তো জানে না। প্রত্যেকেই নদী বিশেষজ্ঞ হলে কী হয়! (তারা) যথেষ্ট পরিমাণ জানে না।

“যেমন এই যে গজলডোবা ব্যারেজ আছে, সেখানে মমতা (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছে যে জল নেই। এগুলো কিছু কৃত্রিম ব্যবস্থাপনার কারণে হয়েছে। এই কৃত্রিম ব্যবস্থাপনাকে যদি ঠিক মতো ধরা যায়, সমস্যা থাকে না। আমরা দুই দেশই উপকৃত হই।”

“অন্ধভাবে আমরা বিরোধিতা করব, দেব না- এগুলো হলো মাস্তানি, এক ধরনের অন্ধত্ব। দাঙ্গা করে লাভ নেই। ভারতের সঙ্গে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ, যথেষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করা দরকার,” বলেন তিনি।

বাঁধের নির্মাণ কৌশল ব্যাখ্যা করে ইনামুক হক বলেন, “বাঁধের ইংরেজি হচ্ছে এমব্যাংকমেন্ট। বাঁধটা যখন নদীর ভেতরে দেওয়া হয়, মাটি দিয়ে নদীর প্রবাহ বন্ধ করা, সেটাকেও বাঁধ বলে। মাটি দিয়ে প্রবাহ বন্ধ করা যায়, টিন দিয়েও করা যায়, কনক্রিট স্ট্রাকচার দিয়েও করা যায়। বাঁধ যেগুলো আছে, সেগুলো আবার গেটেড হতে পারে, নন-গেটেডও হতে পারে।”

ব্যারেজ ও ড্যাম নিয়ে তিনি বলেন, “বাঁধটা দিয়ে গেট থাকলে সেটা ওয়াটার কন্ট্রোল স্ট্র্যাকচার হয়। ওই রকম গেট যদি একাধিক থাকে, তখন সেটা ব্যারেজ। বাঁধগুলো কনক্রিটের হয়, তারপরে গেট থাকে, তখন এটা ব্যারেজ হয়ে যায়। ব্যারেজগুলো সাধারণত করা হয় পানি ডাইভার্ট করার জন্য।

“আর ড্যাম হলো সেখানেই, যেখানে পানির প্রবাহটাকে থামিয়ে জলাধার হয়েছে। যদি জলাধার উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে সেটা ড্যাম নয়।”

বাংলাদেশে বসানো অনেক বাঁধ নদীগুলোর মৃত্যুর কারণ হয়েছে দাবি করে ইনামুল হক বলেন, “যদি আমরা বাঁধটাকে নদীতে দিয়ে দেই কিন্তু গেট নাই, এরকম বাংলাদেশে অজস্র বাঁধ আছে। এ বাঁধগুলো দিয়ে নদীকে মেরে ফেলা হচ্ছে।

“যেমন পাবনা এলাকায় … আত্রাই নদীর বিভিন্ন পথ ছিল, সেগুলো বাঁধ দিয়ে দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। অজস্র জায়গা আছে, নদীপ্রবাহ বন্ধ করে অন্যদিকে নেওয়া হয়েছে।”

মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীর উপর ২০১১ সালে ১২২ কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর সাময়িকভাবে বন্যা থেকে স্বস্তি মিললেও ২০১৩ সালে এই বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। গত কয়েক বছরে এই মুহুরী বাঁধে অন্তত ৮৬টি স্থানে ভাঙন দেখা যায়।

মুহুরী নদীতে এই মাটির বাঁধের নকশার গাফিলতি কি বন্যা ঠেকাতে না পারার কারণ?

এই প্রশ্নে ইনামুল হক বলেন, “এই গাফিলতির কারণে এই বন্যাটা না। কোনও কোনও বন্যা হতে পারে।”

তিনি বলেন, “পরশুরাম-ফুলগাজী, এটা একটা নিম্নাঞ্চল। এর পূর্ব দিকেও পাহাড়, পশ্চিম দিকেও পাহাড়। পাহাড়ের ওপাশে ভারত। এর উত্তর দিকে সরু একটা জায়গা দিয়ে মুহুরী নদীটা প্রবেশ করেছে। মুহুরীর শাখা হলো কহুয়া। ওপাশে আরেকটা নদী আছে সিলোনিয়া।

“এখানে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে যখন আগাম বন্যা হয়, তখন ওই বন্যাটা ঠেকানোর জন্য ওই প্রতিরোধ বাঁধটা যথেষ্ট হতে পারে। যদি বড় ধরনের বন্যা হয়, তাহলে পানি রাখতে পারবে না। অতএব, ওইখানে যে বাঁধ, তা সবসময় একটা ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। পানি ছাপিয়ে যাবে, পানির তলে চলে যাবে।”

ফেনীর সোনাগাজীতে ফেনী রেগুলেটর

ফেনীর বন্যা সমাধানের পথ কী

ইনামুল হক বলেন, বাঁধসহ বিভিন্ন নির্মাণে স্থানীয় মানুষের মতামত শোনা দরকার, যারা ভুক্তভোগী। নির্মিত বাঁধ কতটুকু কী রক্ষা্ করতে পারবে, তাও স্থানীয়দের বোঝানো দরকার।

“একদম ভাটিতে সোনাগাজী রেগুলেটর, সোনাগাজী রেগুলেটর ছিল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস-জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু এর ভাটিতে বিশাল এলাকায় চর পড়ে গেল। আগে সোনাগাজী রেগুলেটর সাগরের ধারে ছিল, এখন সাগর ১০০ কিলোমিটার দূরে।

“এখন ভাটিতে যে প্রবাহ পথটা, সেটা ভরাট হয়ে গেছে। যার কারণে ফেনীতে পানিটা যে জমে গেছে, সেটা যথেষ্ট পরিমাণে বের হতে পারছে না। কী বিপদ একটা!”

“এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার দরকার আছে, ফেনী এলাকায় বন্যা দূর করতে হলে হয়ত আমাদের ফেনী রেগুলেটর এবানডন করতে হবে। আরও ১০০ কিলোমিটার বা ৫০ কিলোমিটার ভাটিতে গিয়ে হয়ত একটা রেগুলেটর করতে হবে,” বলেন তিনি।

আগামীতে বন্যা মোকাবেলায় অর্থবছর এগিয়ে আনার পরামর্শও দেন তিনি।

“এক কোয়ার্টার আগিয়ে আনতে হবে। সাধারণত দেখা যায়, সমস্ত কাজগুলো জুন মাসে হয়। টাকা-পয়সার লেনদেনটা জুন মাসে হয়। এটাকে সরিয়ে আনতে হবে। ইন্ডিয়াতে এই ধরনের নাই। আমাদের অর্থবছরটা পহেলা এপ্রিল থেকে ৩১শে মার্চ করতে হবে।”

“আমাদের অর্থবছরটা এখনও পাকিস্তানপন্থি হয়ে আছে। পাকিস্তানে বর্ষাটা পরে যায়। ওদের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের জন্য ঠিক না। এটা পরিবর্তন করাটা এই মুহূর্তে দরকার,” বলেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত