রাতভর মুষলধারে বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। বিশেষ করে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও আবাসিক, পাঁচলাইশ, শুলকবহর, চকবাজার, বাকলিয়া, রাহাত্তারপুল, আগ্রাবাদ সিডিএ ও ইপিজেড এলাকার প্রধান সড়ক হাঁটু সমান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সারারাত ধরে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল কম ছিল। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় কর্মজীবীদের। জলাবদ্ধতা ও যানবাহনের সংকট উভয়ই তাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টি এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি যাত্রীবাহী ফ্লাইট আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা দেরিতে নেমেছে।
এদিন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলে ২৪টি ফ্লাইট ওঠানামা করে এই বিমানবন্দরে। সবগুলো ফ্লাইট দেরিতে নামায় উড়াল দিতে বাড়তি সময় নেয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে আগেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছিল।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চঙ্গ্যা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্যের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে।
“এ কারণে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে। আগামী দুদিন এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”