বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য একাত্তরে যারা প্রাণ দিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসে গভীর শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করছে জাতি। জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে।
বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের দিনটি উদযাপন বুধবার শুরু হয় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে। এরপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে চলে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব।
সকাল ৬টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপিত মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি স্মৃতিসৌধে পৌঁছলে সেখানে তাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। আরও উপদেষ্টা, সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তিন বাহিনীর প্রধানরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধের বেদীতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে সই করেন রাষ্ট্রপতি।
এর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনিও শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধের বেদীতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এসময় রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন এবং বিউগলে করুণ সুর তোলেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান উপদেষ্টাও স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে সই করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীকের নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতি সৌধে ফুল দেন।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা এবং বিদেশি মিশনগুলোর প্রতিনিধিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতি সৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পক্ষ থেকে দেওয়া শ্রদ্ধার ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদী।
জাতীয় এই দিবসে ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলায় অবস্থিত শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।